শুরুতে ব্যাট হাতে বাংলাদেশের ব্যাটাররা বড় সংগ্রহ এনে দিতে ব্যর্থ হয়। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সামান্য পুঁজিতে সম্ভাবনা জাগিয়েও হারের তিক্ত স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে টাইগারদের। বাংলাদেশের ২১০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে মালানের সেঞ্চুরিতে আট বল বাকি থাকতে তিন উইকেটে জিতেছে ইংল্যান্ড।
এর আগে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বড় স্কোর গড়তে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। শান্ত-রিয়াদের ব্যাটে ভর করে ৪৭.২ ওভারে ২০৯ রানে অলআউট হয় টাইগাররা। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন শান্ত। ইংল্যান্ডের আর্চার, মার্ক উড, আদিল রশিদ ও মঈন আলী নেন দুইটি করে উইকেট।
এই জয়ে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল সফরকারীরা। বুধবার (১ মার্চ) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২০৯ রানের পুঁজি নিয়ে বোলিং করতে নেমে শুরুতেই ইংলিশদের ভড়কে দিয়েছিল বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই জেসন রয়কে ফেরান সাকিব আল হাসান। অপর ওপেনার ফিল স্লটকে বেশিদূর এগুতে দেননি তাইজুল ইসলাম। দলীয় ৩৫ রানের মাথায় ১৯ বলে ১২ রান করা সল্টকে সরাসরি বোল্ড করেছেন তাইজুল।
পাঁচে নামা ডেভিড ভিন্স ও ছয়ে নামা জস বাটলারও দাঁড়াতে পারেননি। তাইজুল ইসলামকে এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে ব্যাটে-বলে করতে না পেরে স্ট্যাম্পিং হয়েছেন ভিন্স। ৯ বলে ৬ রান করে ফিরেছেন। জস বাটলার তাসকিন আহমেদের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন ১০ বলে ৯ রান করে। ৬৫ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।
তবে তিনে নামা ডেভিড মালান দুর্দান্তভাবে একপ্রান্ত আগলে রেখে দলকে টানছেন। বাংলাদেশের স্পিনেই বেশি ভুগছে ইংল্যান্ড। আর মালান স্পিনটাই খেলছেন ভালো। তাইজুল ইসলাম, সাকিব আল হাসানরা অন্যদের উপর ছড়ি ঘুড়ালেও মালানের মনোযোগ নষ্ট করতে পারেননি। অবশ্য অপর প্রান্ত থেকে নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট তুলে নিতে পেরেছে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ড চাপে পরেছে তাতেই।
৬৫ রানে চার উইকেট হারিয়ে ফেলা ইংল্যান্ডের হয়ে তারপর হাল ধরেছেন মঈন আলী ও উইল জ্যাক। মেহেদি হাসান মিরাজ পর পর এই দুজনকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান। দলীয় ১৬১ রানের মাথায় ক্রিস ওকস সপ্তম ব্যাটার হিসেবে ফিরলে বাংলাদেশই ছিল সুবিধাজন অবস্থানে। কিন্তু একপ্রান্তে গলার কাটা হয়ে আটকে আছেন ডেভিড মালান।