চোট কাটিয়ে লিওনেল মেসি ফিরলেন। তবে ইন্টার মায়ামির খেলায় ধার ফিরল না। পুরো ম্যাচ খেলে মেসি রইলেন নিষ্প্রভ হয়ে। তার দল পারল না খুব একটা জ্বলে উঠতে। তবে শেষ সময়ে লিওনার্দো কাম্পানার দারুণ এক গোলে প্রত্যাশিত তিনটি পয়েন্ট তারা ঠিকই আদায় করে নিল।
মেজর লিগ সকারের ম্যাচে বাংলাদেশ সময় আজ রবিবার সকালে ডি. সি. ইউনাইটেডকে ১-০ গোলে হারায় ইন্টার মায়ামি।
বদলি হিসেবে মাঠে নামার কয়েক মুহূর্ত পরই জয়ের নায়ক হয়ে যান কাম্পানা। ৯০ মিনিট শেষে যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে দর্শনীয় গোলটি করেন একুয়েডরের তরুণ এই ফরোয়ার্ড।
আগের ম্যাচে মেসিকে ছাড়া খেলতে নেমে অরল্যান্ডো সিটির বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছিল মায়ামি। সেদিন দারুণ কিছু সেভ করে দলকে রক্ষা করার নায়ক গোলকিপার ড্রেক ক্যালেন্ডার এই ম্যাচেও অন্তত তিন দফায় দলকে উদ্ধার করেন সম্ভাব্য বিপদ থেকে। এই নিয়ে মৌসুমে চার ম্যাচে কোনো গোল হজম করলেন না ক্যালেন্ডার।
হাঁটুর চোট কাটিয়ে মেসির ফেরার ম্যাচে বল পায়ে রাখার লড়াইয়ে অনেক ব্যবধানে এগিয়ে ছিল মায়ামি। ম্যাচের ৬৭ শতাংশ সময় বল ছিল তাদের কাছেই। কিন্তু সেই দাপটের প্রতিফলন পড়েনি আক্রমণে। ধারাল আক্রমণ তারা খুব একটা করতে পারেনি। গোলে শট নেওয়ায় বরং এগিয়ে ছিল ডি. সি. ইউনাইটেডই। ১৫টি শট নেয় তারা গোলে, মায়ামি নিতে পারে ৮টি।
চলতি লিগে এখনও পর্যন্ত ১০টি গোল করা ও লিগের সর্বোচ্চ ১২টি অ্যাসিস্ট করা মেসির জন্য এটি ছিল বিরল এক রাত, যেখানে প্রায় পুরোপুরিই আড়ালে পড়ে ছিলেন তিনি। আবহাওয়াও অবশ্য প্রতিকূল ছিল এ দিন। প্রচণ্ড গরমের কারণে প্রথমার্ধে ‘হাইড্রেশন ব্রেক’ দিতে বাধ্য হন রেফারি। পরে তুমুল বৃষ্টির কারণে দুই দলেরই স্বাভাবিক খেলা ব্যাহত হয়।
৯০ মিনিট শেষে অতিরিক্ত যোগ করা হয় সাত মিনিট। এর তৃতীয় মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করেছিল ডি.সি. ইউনাইটেড। কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড ক্রিস্তিয়ান দাহোমির দুর্দান্ত এক শট ঝাঁপিয়ে পড়ে শেষ মুহূর্তে একটুর জন্য বাইরে পাঠানে পারেন মায়ামির গোলকিপার ক্যালেন্ডার।
কাম্পানাকে নামানো হয় যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটেই। পরের মিনিটেই তার সেই গোল। মাঝমাঠ থেকে দূরপাল্লার অসাধারণ এক বল বাড়ান সের্হিও বুসকেতস। বক্সের ঠিক মাথায় বাঁ পায়ে দারুণভাবে বলটি ধরে ডান পায়ের চোখধাঁধানো শটে বল জালে জমান কাম্পানা।
এই জয়ে ১৫ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে মেজর লিগ সকারের ইস্টার্ন কনফারেন্সের শীর্ষস্থান ধরে রাখল মায়ামি। তবে তাদেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে সিনসিনাতির। ১৪ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৩০। ডি.সি. ইউনাইটেড নবম স্থানে আছে ১৪ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে।