• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩৭ অপরাহ্ন

নেতৃত্ব নিয়ে পিবিসিকে যে শর্ত দিলেন বাবর

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৪

পাকিস্তান দলের নতুন নির্বাচক কমিটি করা হয়েছে। এ সময় পিসিবির নতুন চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি জানান, সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শাহিন শাহ আফ্রিদি অধিনায়ক হিসেবে থাকবেন কিনা, তিনি নিশ্চিত নন।

নাকভির এ বক্তব্যের পর থেকে পাকিস্তানের নতুন অধিনায়ক নিয়ে আলোচনা চলতে থাকে। পাকিস্তানের গণমাধ্যম জানায়, আবারও বাবর আজমের কাঁধে নেতৃত্বের ভার তুলে দিতে চায় পিসিবি। কিন্তু বোর্ড চাইলেই তো হবে না। বাবরকেও চাইতে হবে। পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানও নেতৃত্ব ফিরে পেতে চান। তবে সে সময় বোর্ডকে কিছু শর্ত দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছিল জিও নিউজ।

বাবর কী এমন শর্তে অধিনায়কত্বে ফিরবেন— এটি নিয়ে আগ্রহের কমতি ছিল না ক্রিকেটপ্রেমীদের। এবার জানা গেছে, শুধু টি-টোয়েন্টিতে নয়, তিন সংস্করণে দায়িত্ব পেলেই কেবল পুনরায় নেতৃত্বের ভার গ্রহণ করবেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান।

ক্রিকইনফো জানাচ্ছে, আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য বাবর আজমকে নেতৃত্বে ফেরার প্রস্তাব দিয়েছিল পিসিবি। কিন্তু সে প্রস্তাবে শর্তজুড়ে দেন সাবেক অধিনায়ক। সাফ জানিয়ে দেন, আগের মতো তিন সংস্করণেই দায়িত্ব চান।

পাকিস্তানের তিন সংস্করণে আরও বহুদিন বাবরেরি নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত বছর এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ব্যর্থতার দায় নিয়ে দায়িত্ব ছাড়তে হয় তাকে। শূন্যতা পূরণে শান মাসুদকে টেস্ট দলের ও শাহিন আফ্রিদিকে টি-টোয়েন্টি দলের নতুন অধিনায়ক ঘোষণা করে পিসিবি। ওয়ানডে দলের অধিনায়কের পদটি এখনো ফাঁকাই আছে।

শান মাসুদের অধীনে পাকিস্তান কেবল একটি টেস্ট সিরিজ খেলেছে। গত ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই হয়েছিল মাসুদের পাকিস্তান। অন্যদিকে শাহিন আফ্রিদির অধীনেও দলটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে একটি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সে সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে হেরেছে পাকিস্তান। এখন যদি পিসিবি বাবর আজমের শর্ত মেনে নেয়, তা হলে মাসুদ-শাহীন আফ্রিদির অধিনায়কত্বের ক্যারিয়ার আপাতত এক সিরিজেই সমাপ্তিরেখা দেখবে।

উল্লেখ্য, বাবর আজমের নেতৃত্বে এখন পর্যন্ত পাঁচটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছে পাকিস্তান। বাবরের অধীনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুবার (২০২১ ও ২০২২ সালে), এশিয়া কাপে দুবার (২০২২ ও ২০২৩ সালে) ও ওয়ানডে বিশ্বকাপে একবার (২০২৩ সালে) অংশ নিয়ে কোনোটাতেই শিরোপার স্বাদ পায়নি পাকিস্তান। ২০২২ সালের দুটি টুর্নামেন্টেই অবশ্য ফাইনাল খেলেছিল তারা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page