সাকিব আল হাসান ২২ গজের রাজা, একজন সফল ব্যবসায়ী এবং একজন সংসদ সদস্য। শত বিশেষণ তার নামের পাশে যোগ করলেও যেন কমতি থাকে! বাংলাদেশি এই ক্রিকেট তারকার গতিপথ পরিমাপ করা কিংবা বোঝার মতো বস্তু হয়তো এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। ক্রিকেটে ব্যস্ত থাকা সাকিব হুট করে চলে যান রাজনীতির মাঠে কিংবা ব্যবসার প্রয়োজনে দেশ-বিদেশে। তাতে ১ ঘণ্টা পর সাকিব কী করতে চলেছেন, সেটি হয়তো তিনি নিজেও জানেন না! সেখানে ভক্তদের অনুমান করা তো ভারি কঠিন কাজই হবে। বর্তমানে মাঠের বাইরে থাকা বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার হুট করে মাঠে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, এমনটিই গুঞ্জন হিসেবে শোনা গেছে। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা পুরো সিরিজ থেকে ছুটি নিয়েছিলেন তিনি, এটি এখন পুরোনো খবর। ফলে নতুন খবর হিসেবে সামনে এসেছে সাকিবের মাঠে ফেরার গুঞ্জন। গতকাল ক্রীড়ামন্ত্রী ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে সাক্ষাৎ করেছেন সাকিব আল হাসান। প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক করেন দুজনে। এরপরই গুঞ্জন উঠেছে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেই মাঠে নামতে চাইছেন সাকিব।
গতকাল মুশফিকুর রহিম চোটের কারণে ছিটকে গেছেন টেস্ট সিরিজ থেকে। এই জায়গাতে সাকিবের ফেরার বিষয়টি একবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে না জানানো পর্যন্ত সেটিকে গুঞ্জন হিসেবে ধরে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। এদিকে মন্ত্রীকে টেস্টে খেলার বিষয়ে নিজের ইচ্ছার কথা জানালেও সেটি নিয়ে বিসিবি সভাপতি পাপন সিদ্ধান্ত নেননি বলে জানা গেছে। আবার বৈঠকে মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে সাকিব নিজ নির্বাচনি এলাকার ক্রীড়ার সার্বিক উন্নয়ন নিয়েও যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী পাপনের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। সিলেটে আগামী ২২ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। আর ৩০ মার্চ চট্টগ্রামে গড়াবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।
এই সিরিজে সাকিব দলের সঙ্গে যোগ দিলে শক্তিতে এগিয়ে থাকবে স্বাগতিকরা। দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছে টাইগার বাহিনী। তবে টি-টোয়েন্টিতে সিলেটের লাক্কাতুরায় লঙ্কানদের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে হেরেছিল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। সে সময়ে সাকিব দলের সঙ্গে থাকলে ফল ভিন্নও হতে পারত। তবে এবার টেস্টে ফিরলেও দল অনেকটাই স্বস্তি খুঁজে পাবে। বিপিএলের দশম আসরে সাকিব খেলেছিলেন রংপুর রাইডার্সের জার্সিতে। নিজের দলকে সফলতা এনে দিতে না পারলেও বল ও ব্যাট হাতে সাবলীল দেখা গেছে বিশ্বসেরা এই তারকাকে। যদিও সেই টুর্নামেন্টের শুরুতে ব্যাট হাতে বেশ ভুগেছিলেন তিনি, তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেটি কাটিয়ে ভালোভাবে কামব্যাক করেন। বিপিএল শেষ হলেই জাতীয় দলের খেলা থেকে ছুটি নেন সাকিব।