আইপিএলের বেশ পুরোনো মুখ মুস্তাফিজুর রহমান। তার পরও তিনি অনুভব করছেন নতুন কিছুর রোমাঞ্চ। ভারতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি আসরে এবার তার ঠিকানা যে নতুন! চেন্নাই সুপার কিংসে খেলতে মঙ্গলবার সকালে ঢাকা ছাড়লেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ বাঁহাতি পেসার। আগের দিনই চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে খেলেন মুস্তাফিজ। একাদশে ফেরার ম্যাচে বেশ কার্যকর বোলিং করে দুটি উইকেট শিকার করেন তিনি। শেষ দিকে অবশ্য পুরো ১০ ওভার তিনি শেষ করতে পারেননি। পায়ে ক্র্যাম্প করায় মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। তবে গুরুতর কিছু নয় তা। তার আইপিএল অভিযানেও তাই বাধা পড়েনি। বিশ্বের সেরা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট আসরে এবার বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি তিনি। গত ডিসেম্বরে নিলামের নিয়মিত রাউন্ডে অবিক্রিত থাকার পর ‘এক্সিলারেটেড’ রাউন্ডে ভিত্তিমূল্য দুই কোটি রুপিতে তাকে দলে নেয় চেন্নাই। আইপিএলের সফলতম দলটিতে এবারই প্রথম খেলবেন তিনি। মাহেন্দ্র সিং ধোনির দলে যোগ দেওয়ার আগে ঢাকা বিমানবন্দরে অপেক্ষারত একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে তিনি দোয়া চান সবার কাছে। “রোমাঞ্চ নিয়ে মুখিয়ে আছি আমার নতুন অভিযানের জন্য। ২০২৪ আইপিএলের জন্য চেন্নাই যাচ্ছি। আমাকে আপনাদের প্রার্থনায় রাখবেন যেন নিজের সেরাটা দিতে পারি।” ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবির্ভাবেই সাড়া জাগানোর পর ২০১৬ আসর দিয়ে আইপিএলে অভিষেক হয় মুস্তাফিজের। সেবার ওভারপ্রতি সাতের কম রান দিয়ে ১৭ উইকেট সানরাইজার্স হায়দরাবাদের শিরোপা জয়ে বড় অবদান রাখেন তিনি। টুর্নামেন্টের সেরা উদীয়মান ক্রিকেটারের স্বীকৃতিও পান সেই সময়ের তরুণ পেসার। বিদেশী ক্রিকেটারদের মধ্যে এই পুরস্কারজয়ী একমাত্র বিদেশি ক্রিকেটার এখনও তিনিই। পরে আর কোনো আসরেই সেই সেরা ছন্দে তাকে দেখা যায়নি। তবে এই টুর্নামেন্টে তাকে দেখা গেছে মোটামুটি নিয়মিতই। আইপিএলে তার সপ্তম আসর হবে এবার। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের পর তিনি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, রাজস্থান রয়্যালস হয়ে সবশেষ দুই মৌসুমে খেলেছেন দিল্লি ক্যাপিটালসে। সব মিলিয়ে ছয়টি আইপিএল ৪৮ ম্যাচ খেলে ওভারপ্রতি ৭.৯৩ রান দিয়ে মুস্তাফিজের উইকেট ৪৭টি, সেরা বোলিং ১৬ রানে ৩ উইকেট। এবারের আসরের উদ্বোধনী ম্যাচেই ঘরের মাঠ এমএ চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরের মুখোমুখি হবে চেন্নাই।