• বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন

বিআইডব্লিউটিএ প্রধান প্রকৌশলী (মেরিন)আতাহার আলী’র অনিয়ম দুর্নীতি দেখার কেউ নাই!

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

এম.ডি.এন.মাইকেলঃ

ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ঘুষ অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিআইডব্লিউটিএ এর প্রধান প্রকৌশলী (মেরিন) মোঃ আতাহার আলী সরদার সীমাহীন ঘুষ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নামে বেনামে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়।প্রধান প্রকৌশলী(মেরিন) মোঃ আতাহার আলী সরদার এর ঘুষ অনিয়ম ও দুর্নীতি দেখার কেউ নাই! বিআইডব্লিউটিএ এর মেরিন শাখায় সহকারী প্রকৌশলী হিসাবে যোগদানের পর ধাপে ধাপে পদোন্নতি পেয়ে বর্তমানে প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্বে।ধাপে ধাপে পদোন্নতির সাথে সাথে ঘুষ অনিয়ম ও দুর্নীতিতে আরও পারদর্শী হয়ে উঠেন এবং ঘুষ অনিয়ম ও দুর্নীতিকে পেশা হিসাবে নিয়েছেন যাহা বিআইডব্লিউটিএ ভবনে ওপেন সিক্রেট।যদিও সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সরকার গঠিত প্রবিধানের সাথে ঘুষ অনিয়ম ও দুর্নীতি কর্মকান্ড সাংঘর্ষিক।তার নজিরবিহীন অনিয়ম দুর্নীতির তথ্য প্রমাণ এই প্রতিবেদককের হাতে সংরক্ষিত।অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে তার অনিয়ম দুর্নীতির নানান ফিরিস্তি। অনুসন্ধানে জানা যায় তিনি দরপত্র আহবানের পর প্রতিটি ঠিকাদারি কাজে তার চাহিদা মতো ঘুষ ৫% থেকে ১৫% পর্যন্ত কমিশন নিয়ে থাকেন এবং বড় বড় ঠিকাদারি কাজে ৩০ থেকে ৪০% লভ্যাংশের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে নিজের পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ দিয়ে থাকেন।অন্য দিকে ঠিকাদারি কাজে কমিশনের বাণিজ্যের রফাদফা করার জন্য তাকে প্রায়ই রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন নামিদামি রেস্টুরেন্টে বৈঠক করতে দেখা যায়।এছাড়াও নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও নৌ-প্রতিমন্ত্রীর এপিএস এর নাম ভাঙ্গিয়ে নিজের পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ দিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করেন।প্রধান প্রকৌশলী (মেরিন) মোঃ আতাহার আলী সরদার এর ঘুষ কমিশন বাণিজ্য অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ এর তালিকাভুক্ত কয়েকজন ঠিকাদারের সাথে কথা বললে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলেন আতাহার আলী সরদার স্যার এমএমই শাখায় সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করার পরে ধাপে ধাপে পদোন্নতি পেয়ে বর্তমানে প্রধান প্রকৌশলী দায়িত্বে আছেন এবং স্যার এর সবচেয়ে বড় গুণ হলো তিনি নিজের পছন্দের ঠিকাদারদের থেকে কমিশন বাণিজ্যের টাকা অগ্রিম নিলেও কখনো বেইমানি করেন না ঠিকই দুদিন আগে আর পরে কাজ দিয়ে থাকেন! অন্য আরেকজন ঠিকাদার বলেন স্যারের অত্যন্ত পছন্দের খাবার হচ্ছে সামুদ্রিক বড় বড় মাছ,কচি ষাঁড় গরুর মাংস,পদ্মার বড় বড় ডিমওয়ালা ইলিশ মাছ এই সব স্যারকে খুশি করার জন্য বাসায় পৌঁঁছিয়ে দিয়ে আসেন কারণ স্যার ম্যাডাম খুশি তো এমএমই শাখায় কাজ পাওয়া নিশ্চিত।অন্য আরেকজন ঠিকাদার আক্ষেপ করে বলেন বর্তমান সরকার ঘুষ অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স নীতি ঘোষণা করলেও এমএমই শাখার প্রধান প্রকৌশলী আতাহার আলী সাহেব সরকারের এই নীতিকে থোড়াই কেয়ার করে পদোন্নতির সাথে সাথে ঘুষ দুর্নীতি অনিয়ম ও কমিশন বাণিজ্যের জন্য এমএমই শাখায় নিজের অধীনস্থ কর্মকর্তাদের দিয়ে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন উক্ত সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি নিজেই।এখানে উল্লেখ থাকে যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রতিটি ঠিকাদারি কাছে অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধ করার জন্য ইজিপি পদ্ধতি চালু করেন কিন্তু বাংলায় একটা প্রবাদ আছে চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী ঠিক তেমনি ইজিপি পদ্ধতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কাজের গোপন (রেটকোট) তথ্য তিনি যেই সকল ঠিকাদারদের থেকে ঘুষ নিয়ে থাকেন তাদের হাতে তুলে দিয়ে থাকেন।এই ইজিপি কাজের বিষয় কয়েকজন ঠিকাদার নাম প্রকাশ না করা শর্তে এই প্রতিবেদককে বলেন সাংবাদিক ভাই আমরা যতই সরকারি নিয়মকানুন মেনে দরপত্র আহ্বানের সকল শর্ত পূরণ করে এমএমই শাখায় টেন্ডার সাবমিট করি না কেন আমরা কাজ পাই না কারণ আমরা প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আতাহার আলী সরদার স্যার এর চাহিদা মত ৫% থেকে ১৫% ঘুষ দিতে পারিনা তাই আমরা কাজ পাই না।অন্য এক প্রশ্নের জবাবে উক্ত ভবনে কয়েকজন ঠিকাদার আক্ষেপ করে বলেন ৫% থেকে ১৫% টাকা ঘুষ দেওয়ার পরে আবার যখন কাজ সম্পন্ন করে বিল সাবমিট করি তখন আবারও তাহার চাহিদা মত ঘুষ না দিলে আমাদের কাজের বিল পাস হয় না।সাংবাদিক ভাই আমরা এই সকল অনিয়ম দুর্নীতি থেকে মুক্তি পেতে চাই। এই জন্য বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আহ্বান জানাবো বিআইডব্লিউটিএ ভবনের দুর্নীতি বন্ধে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত করিয়ে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবেন এবং আপনার ঘোষিত আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার কাজে দুর্নীতিই প্রধান বাধা। এই সকল ঘুষ কমিশন বাণিজ্য ও অনিয়ম দুর্নীতির বিষয় জানতে প্রধান প্রকৌশলী (মেরিন) মোঃ আতাহার আলী সরদার এর মুঠোফোন বেশ কয়েকবার ফোন দিয়ে ক্ষুদে বার্তা ও ই-মেইল পাঠিয়ে প্রথম দিন কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।পরবর্তীতে পরদিন তাহার বক্তব্য জানার জন্য মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে দেখা/জানা যায় যে প্রতিবেদকের মুঠো নাম্বারটি তিনি ব্লক করে রাখেন।
অনুসন্ধান চলমান,,,,,,,


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ