খেলাধুলা ডেস্ক
বিশ্বকাপ মানেই রেকর্ড ভাঙা গড়ার খেলা। বৈশ্বিক এই মহাযজ্ঞের প্রতি আসরেই কোনো না কোনো দল গড়ে অনন্য কোনো কীর্তি। আবার কারো বা সঙ্গী হয় লজ্জার রেকর্ড। ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রেও এমনটা প্রযোজ্য।
দরজায় কড়া নাড়ছে আরও একটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ। আগামী ৫ অক্টোবর পর্দা উঠছে বৈশ্বিক এই মহাযজ্ঞের। স্বভাবতই পূর্বের সব আসরের মতো এই আসরেও দেখা যেতে পারে অনন্য কিছু রেকর্ডের।
এক বুক আশা নিয়ে বিশ্বকাপের মিশনে গেছে বাংলাদেশ জাতীয় দল। রেকর্ড গড়ার কীর্তিতে নিজেদের আলোচনায় রাখতেই পারে টিম টাইগার্স। কিন্তু একটি রেকর্ড হয়তো তারা নিশ্চিতভাবেই চাইবে স্মৃতির মণিকোঠা থেকে মুছে দিতে। টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর ভেতর বাংলাদেশই লজ্জার সেই রেকর্ডটি গড়ে জায়গা করে নিয়েছিল সেরা পাঁচে। সেই রেকর্ডটি হলো বিশ্বকাপে সবচেয়ে কম রানে অল আউট হওয়ার নজির স্থাপন।
২০১১ সালে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে নাস্তানাবুদ হয়েছিল বাংলাদেশ। হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে সেই ম্যাচে গ্রুপ পর্বের সেই ম্যাচে স্বাগতিকরা অল আউট হয়ে গিয়েছিল মাত্র ৫৮ রানে।
আর তাতে করেই সর্বনিম্ন রানে আউট হওয়া লজ্জার রেকর্ডের তালিকার সেরা পাঁচে নিজেদের জায়গা করে নেয় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। বিশ্বকাপের ইতিহাসে বাংলাদেশের সেই কীর্তিটি চতুর্থ সর্বনিম্ন রানে অল আউট হওয়ার নজির।
বিশ্বকাপে সবচেয়ে কম রানে গুঁটিয়ে যাওয়ার কীর্তিতে প্রথম অবস্থানে রয়েছে কানাডা। ২০০৩ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা তাদের গুঁটিয়ে দিয়েছিল ৩৬ রানে। দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডটিও তাদের দখলে। ১৯৭৯ সালের বিশ্বকাপে কানাডাকে ৪৫ রানে অল আউট করে দিয়েছিল ইংল্যান্ড। দুই যুগ পর নিজেরাই নিজেদের রেকর্ড ভেঙেছিল কানাডিয়ানরা।
তালিকার তিনে রয়েছে নামিবিয়া। ২০০৩ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাত্র ১৪ ওভার ব্যাটিং করার সুযোগ মিলেছিল তাদের। ১৪ ওভার খেলে স্কোরবোর্ডে ৪৫ রান যোগ করতেই থেমে যায় তাদের ইনিংসের চাকা।
২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫৮ রানে অল আউট হয়ে লজ্জার রেকর্ডের র্যাঙ্কিংয়ে চতুর্থ স্থান নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। আর একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ৬৮ রানে অল আউট হয়ে পাঁচে অবস্থান কেনিয়ার।
লজ্জার এই রেকর্ডের সেরা দশে বাংলাদেশ ছাড়াও আরও একটি টেস্ট খেলুড়ে দল লম্বা সময় ধরে অবস্থান করছে তালিকার ছয়ে। ১৯৯২ বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে ৬৯ রানে গুটিয়ে দিয়ে রেকর্ডবুকে প্রবেশ করিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।
সেরা দশে বাংলাদেশের আরও একটি নজির রয়েছে সর্বনিম্ন রানে গুঁটিয়ে যাওয়ার। ২০১১ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৫৮ রানে আউট হওয়ার পর গ্রুপ পর্বের আরেক ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৬৮ রানে থেমে যেতে হয়েছিল স্বাগতিকদের।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের এই দুই লজ্জার কীর্তিতে কমন রয়েছে দুটি বিষয়। দুটো ম্যাচই ছিল গ্রুপ পর্বে আর দুই ম্যাচের ভেন্যুও ছিল এক।