• শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
চৌদ্দগ্রামে অবৈধ অস্ত্র সহ যুবক আটক! বরিশালে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ কমনওয়েলথ গেমসে স্বর্ণপদক বিজয়ী শুটার আতিকুর রহমান আর নেই অভিভাবকহীন সন্তানদের থেকে রাষ্ট্রও যেন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে” রাজশাহীতে এটিএন বাংলার সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটন এর বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলায় বএিমইউজরে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ বান্দরবানে ড. এফ. দীপংকর মহাথের (ধুতাঙ্গ ভান্তে) এঁর রহস্যজনক মৃত্যুর তথ্য উদঘাটনের দাবীতে উত্তাল পার্বত্য জনপদ গুইমারাতে ১ কেজি ৫২০গ্রাম গাঁজাউদ্ধার, ২ জন আটক আম নিয়ে কষ্টগাঁথা ইউরোপ-আমেরিকা যাচ্ছে নোয়াখালীর দেওটির ছানা মিষ্টি উপনিবেশিক-অসাংবিধানিক ১৯০০ সালের শাসনবিধি আইন বহাল রাখার ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে পিসিএনপি রাজপথে নামবে

বেশি দামে ডলার বেচাকেনা, ১৩ ব্যাংককে তলব

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

বেশি দামে ডলার বেচাকেনার অভিযোগে ১৩ ব্যাংকের কাছে ব্যাখ্যা তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তলব করা ব্যাংকগুলো বেসরকারি খাতের। এর মধ্যে একটি শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক রয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) বিভিন্ন ব্যাংকে পাঠানো চিঠিতে আগামী ৫ কর্মদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

বেশি দামে ডলার বেচাকেনার অভিযোগ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, বেশি দামে ডলার বিক্রি করার অপরাধে ৭টি মানি চেঞ্জারের ব্যবসার লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। একই ধরনের অভিযোগ ওঠায় আরও ১০ মানি চেঞ্জারের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া ব্যাংকগুলোতেও তদারকি চলছে। সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত আগস্টে আমদানিতে সর্বোচ্চ ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা দর নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও কিছু ব্যাংক ১১৭ টাকা পর্যন্ত ডলার বিক্রি করেছে, কিনেছে ১১৬ টাকায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিস এবং বৈদেশিক মুদ্রা পরিদর্শন বিভাগ থেকে ডলার কেনাবেচা পরিদর্শন করে থাকে। সম্প্রতি ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় পরিদর্শনে পাঠায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপর তথ্য সংগ্রহ করে ডলার বেচাকেনার বিষয়গুলো যাচাই করা হচ্ছে।

২০২১ সালে অতিরিক্ত মুনাফার অভিযোগে ১২ ব্যাংকের লাভের অর্থ থেকে ৫০০ কোটি টাকা সিএসআর খাতে ব্যয়ের নির্দেশ দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই তালিকায় বিদেশি মালিকানার দুটি ও বেসরকারি খাতের ১০ ব্যাংক ছিল।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলার-সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। এ সংকট মোকাবিলায় শুরুতে ডলারের দাম বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু এতে সংকট আরও বেড়ে যায়। পরে গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। এ দায়িত্ব দেওয়া হয় ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) ওপর। এই দুই সংগঠন মিলে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় এবং আমদানি দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে।

তবে ব্যাংকারদের অভিযোগ, ডলারের দর বাজারভিত্তিক বলা হলেও মূলত এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকই ঠিক করে দেয়। এবিবি ও বাফেদা শুধু ঘোষণা করে। নির্ধারিত ডলার কেনার দর সর্বোচ্চ ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা। এ দামে ডলার পাওয়া যায় না। কারণ এখন হুন্ডিতে ডলারের রেট ১১৭ টাকা মত। যার ফলে প্রবাসীরা ব্যাংকের না পাঠিয়ে হুন্ডিতে বেশি আগ্রহী হচ্ছেন। যার বাস্তব চিত্র গত আগস্টে রেমিট্যান্স কমেছে ২১ শতাংশের উপরে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ