• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৬:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা, লক্কড়ঝক্কড় যান চালালে শাস্তি: বিআরটিএ টাঙ্গাইল — ঝুঁকি ছাড়াই বেশি লাভ, কচুলতি চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা ওএমএস বিতরণে গাফলতি হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: খাদ্যমন্ত্রী প্রাণঘাতী ব্যাকটিরিয়ার তালিকা প্রকাশ করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মেসির ফেরার ম্যাচে শেষ মুহূর্তের গোলে জয় পেল মায়ামি তাসখন্দ থেকে রাষ্ট্রদূতকে কিরগিজস্তানে পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ — কিরগিজস্তানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের গুরুতর আহতের খবর পাওয়া যায়নি : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামান্য অর্থ বাঁচাতে গিয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে উপেক্ষা করে দেশ ধ্বংস করবেন না : প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেলে এনবিআরের ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ ভুল সিদ্ধান্ত: ওবায়দুল কাদের ওয়াদুদ মাতুব্বরের প্রার্থিতা বহাল: ফরিদপুর সালথা উপজেলা নির্বাচনে বাধা নেই মালয়েশিয়ায় মানব পাচারকারী বাংলাদেশি সিন্ডিকেট সহ ৮ জন গ্রেপ্তার

বেশি দামে ডলার বেচাকেনা, ১৩ ব্যাংককে তলব

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

বেশি দামে ডলার বেচাকেনার অভিযোগে ১৩ ব্যাংকের কাছে ব্যাখ্যা তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তলব করা ব্যাংকগুলো বেসরকারি খাতের। এর মধ্যে একটি শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক রয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) বিভিন্ন ব্যাংকে পাঠানো চিঠিতে আগামী ৫ কর্মদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

বেশি দামে ডলার বেচাকেনার অভিযোগ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, বেশি দামে ডলার বিক্রি করার অপরাধে ৭টি মানি চেঞ্জারের ব্যবসার লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। একই ধরনের অভিযোগ ওঠায় আরও ১০ মানি চেঞ্জারের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া ব্যাংকগুলোতেও তদারকি চলছে। সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত আগস্টে আমদানিতে সর্বোচ্চ ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা দর নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও কিছু ব্যাংক ১১৭ টাকা পর্যন্ত ডলার বিক্রি করেছে, কিনেছে ১১৬ টাকায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিস এবং বৈদেশিক মুদ্রা পরিদর্শন বিভাগ থেকে ডলার কেনাবেচা পরিদর্শন করে থাকে। সম্প্রতি ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় পরিদর্শনে পাঠায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপর তথ্য সংগ্রহ করে ডলার বেচাকেনার বিষয়গুলো যাচাই করা হচ্ছে।

২০২১ সালে অতিরিক্ত মুনাফার অভিযোগে ১২ ব্যাংকের লাভের অর্থ থেকে ৫০০ কোটি টাকা সিএসআর খাতে ব্যয়ের নির্দেশ দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই তালিকায় বিদেশি মালিকানার দুটি ও বেসরকারি খাতের ১০ ব্যাংক ছিল।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলার-সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। এ সংকট মোকাবিলায় শুরুতে ডলারের দাম বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু এতে সংকট আরও বেড়ে যায়। পরে গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। এ দায়িত্ব দেওয়া হয় ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) ওপর। এই দুই সংগঠন মিলে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় এবং আমদানি দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে।

তবে ব্যাংকারদের অভিযোগ, ডলারের দর বাজারভিত্তিক বলা হলেও মূলত এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকই ঠিক করে দেয়। এবিবি ও বাফেদা শুধু ঘোষণা করে। নির্ধারিত ডলার কেনার দর সর্বোচ্চ ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা। এ দামে ডলার পাওয়া যায় না। কারণ এখন হুন্ডিতে ডলারের রেট ১১৭ টাকা মত। যার ফলে প্রবাসীরা ব্যাংকের না পাঠিয়ে হুন্ডিতে বেশি আগ্রহী হচ্ছেন। যার বাস্তব চিত্র গত আগস্টে রেমিট্যান্স কমেছে ২১ শতাংশের উপরে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ