• মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
মাদক সেবনকালে জনতার হাতে গাঁজা-ইয়াবাসহ আটক, পুলিশ যাওয়ার আগেই ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ তথ্য সংগ্রহকালে সাংবাদিককে হুমকি ॥ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রাজউক কর্মকর্তার সিন্ডিকেট দুদকের জালে প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান এইচবিএম ইকবাল প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে গেছেন শেখ হাসিনা: ড. ইউনূস ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে গুইমারা বাজারে সরকারি ড্রেন দখল করে প্লট নির্মান, নিরব প্রশাসন দাম কমালো জ্বালানি তেলের কোম্পানীগঞ্জে বন্যার পানির তীব্র চাপে ভেঙে গেলো মুছাপুর স্লুইসগেট মোংলায় মন্দির পাহারা ও সর্বসাধারণের নিরাপত্তায় কোস্ট গার্ড তাড়াশে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন রামগড়ে ইউ.পি সদস্যের উপর সন্ত্রাসী হামলা, বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

কারো সঙ্গে কথা বন্ধ রাখা নিষেধ যে কারণে

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : সোমবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৩

ধর্ম ডেস্ক

কোনো মুসলমান অন্য মুসলমানের সঙ্গে তিন দিনের অধিক কথা বন্ধ রাখা নিষেধ। এতে পরস্পরে হিংসা-বিদ্বেষ ও জিঘাংসা বৃদ্ধি পায়। নিজেদের ক্ষতি ছাড়া কোনো উপকারই হয় না। যারা এভাবে কথা বন্ধ করে এবং তিন দিনের ভেতর পরস্পরে বোঝাপড়া না করে আল্লাহ তাদের ওপর অসন্তুষ্ট হন।

হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা পরস্পর সম্পর্কছেদ করো না, একে অন্যের বিরুদ্ধে শত্রুভাবাপন্ন হয়ো না, পরস্পরের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ পোষণ করো না, পরস্পর হিংসা করো না। তোমরা আল্লাহর বান্দা, ভাই ভাই হয়ে যাও। কোনো মুসলিমের জন্য তার ভাইয়ের সঙ্গে তিন দিনের বেশি কথাবার্তা বলা বন্ধ রাখা বৈধ নয়।’ (বুখারি : ৬০৫৬; মুসলিম : ২৫৫৯)

হজরত আবু আইয়ুব (রা) থেকে বর্ণিত- রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘কোনো মুসলমানের জন্য তার মুসলমান ভাইকে তিন দিনের বেশি বিচ্ছিন্ন করে রাখা জায়েজ নয়। এভাবে তারা উভয়ে যখন মুখোমুখি হয় তখন একজন অগ্রসর হয় কিন্তু অন্যজন এড়িয়ে যায়। তবে এদের মধ্যে যে পূর্বে সালাম প্রদান করবে সে-ই উত্তম।’ (বুখারি ও মুসলিম)।

হজরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে আরও বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার মানুষের আমল উপস্থাপন করা হয়। যে ব্যক্তি আল্লাহর শরিক করে না এরূপ প্রত্যেক ব্যক্তিকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। তবে যে ব্যক্তির তার মুসলমান ভাইয়ের সঙ্গে শত্রুতা রয়েছে তাকে মাফ করেন না। তাদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, এই দুজনের ব্যাপারটি রেখে দাও যাতে তারা পারস্পরিক সম্পর্ক সংশোধন করে নিতে পারে। (মুসলিম)

যদি কেউ কথাবার্তা বন্ধের পর আপসে মিলিত হয়ে যায় তবে তারা পুণ্যের অধিকারী হয়। হযরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত- রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, কোনো ঈমানদার ব্যক্তির জন্য অন্য কোনো ব্যক্তিকে তিন দিনের অধিক পরিত্যাগ করে থাকা বৈধ নয়। তিন দিন গত হওয়ার পর সাক্ষাৎ করে যদি সে তাকে সালাম করে এবং অন্যজনও সালামের উত্তর দেয় তবে উভয়ই পুণ্যের অংশীদার হবে। যদি সে সালামের উত্তর না দেয় তবে পাপী হবে। তবে সালাম প্রদানকারী পরিত্যাগ করার পাপ হতে মুক্ত হয়ে যাবে।’ (আবু দাউদ)


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ