নিজস্ব প্রতিবেদন
গাজীপুরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাবেক মন্ত্রী ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র- জনতা। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে মহানগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ড ধীরাশ্রম দাক্ষিণখান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভাঙচুর ও চিৎকারের পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়,
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, রাতের অন্ধকারে একদল লোক আকস্মিকভাবে সাবেক মন্ত্রীর বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে সেখানে ভাঙচুর চালায়। এ সময় বাড়ির ভেতর থেকে "ডাকাত! ডাকাত!" বলে চিৎকার শোনা গেলে এলাকার লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। চিৎকার শুনে জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে হামলাকারীদের ধাওয়া দেয়।
জনতার ধাওয়ায় হামলাকারীদের অনেকেই পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। তবে 30-35 জনকে ধরে ফেলেন এলাকাবাসী। তাদের ডাকাত সন্দেহে বেধড়ক মারধর করা হয়, যার ফলে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন।
পুলিশের বক্তব্য, গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, "সাবেক মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এলাকাবাসী ডাকাত সন্দেহে ১৫ জনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়েছে। তবে এখনো আহতদের পরিচয় জানা যায়নি।"
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আরও জানান, "আহতদের শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে প্রকৃত আহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।"
এ ঘটনার পর এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং হামলার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছে।
স্থানীয়দের ধারণা, এটি পূর্বপরিকল্পিত হামলা হতে পারে। তবে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, ব্যক্তিগত বিরোধ বা অন্য কোনো কারণ এর পেছনে আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন।