বাংলাদেশে ৬৮০০ কোটি টাকার শেয়ার জব্দের ঘটনায় আলোচনা চলছে, যার সাথে নাম জড়িয়েছে শীর্ষ ব্যবসায়ী সালমানের। তদন্তে জানা গেছে, সালমানের বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বেশ বড় অঙ্কের শেয়ার কেনা-বেচা হয়েছে, যা নানান আর্থিক অস্বচ্ছতার মধ্যে পড়ছে।
অর্থনৈতিক খাতের ওপর নজর রাখার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই শেয়ার জব্দ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শেয়ারগুলো মূলত সিকিউরিটি এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার তত্ত্বাবধানে রাখা হবে। জানা গেছে, এটি একটি বড় ধরনের আর্থিক কেলেঙ্কারি হতে পারে, যা শেয়ারবাজারের সচ্ছলতা ও নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।
জব্দ করা শেয়ারের বেশিরভাগই সালমানের কোম্পানির নামের অধীনে ছিল, তবে কিছু শেয়ার তার পারিবারিক সদস্যদের নামে ছিল। সালমানের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার ও শেয়ারবাজারে কারসাজির অভিযোগ উঠেছে এবং এই শেয়ার জব্দের মাধ্যমে এসব কার্যক্রমের তদন্ত ত্বরান্বিত হবে।
এ বিষয়ে সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সুষ্ঠু তদন্ত পরিচালনা করছে। তদন্তের ফলাফল অনুসারে, যদি কোনো অপরাধ প্রমাণিত হয়, তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
এই ঘটনা দেশের শেয়ারবাজারে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে, এবং এটি ব্যাংকিং ও অর্থনৈতিক খাতের মধ্যে আরো স্বচ্ছতা আনার জন্য একটি সতর্কতা হিসেবেও দেখা হচ্ছে।