বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায়ী গ্রুপ এস আলমের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের ২৫ কর্মকর্তা দুদকে (দুর্নীতি দমন কমিশন) তলব হয়েছেন। দুদকের বিশেষ তদন্ত অধিদপ্তর এই কর্মকর্তাদের দাওয়াত পাঠিয়ে তাদের ৬০ দিনের মধ্যে তদন্তে হাজির হতে বলেছেন।
এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগটি উঠে আসে যখন প্রতিষ্ঠানটি অসংখ্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংকের মাধ্যমে অবৈধভাবে বড় অঙ্কের অর্থ বিদেশে পাচার করেছে। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে এবং এখানকার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
ডুয়েল তদন্তের মাধ্যমে দুদক এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ গঠন করেছে। ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে তাদের মধ্যে কিছু কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে, তবে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য আরও তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
অর্থ পাচারের অভিযোগে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে দুদক। পাশাপাশি, এই বিষয়টির বিচারিক প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার জন্য সরকারও অঙ্গীকার করেছে।
এছাড়া, ব্যাংকিং খাতের মধ্যে এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে আরও কঠোর নীতিমালা গ্রহণের দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে, যাতে অর্থ পাচারের মতো অনৈতিক কার্যক্রম রোধ করা যায় এবং অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।
এটি দেশের আর্থিক ব্যবস্থার জন্য একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এর সঠিক নিষ্পত্তি হতে পারে।
