ঢাকা বৃহস্পতিবার, জানুয়ারী ৩০, ২০২৫

দক্ষিণ সুদানে বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ৪১


নিউজ ডেক্স
৮:৩৫ - বৃহস্পতিবার, জানুয়ারী ৩০, ২০২৫
দক্ষিণ সুদানে বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ৪১

বিধ্বস্ত হওয়া বিমানের ধ্বংসাবশেষ l ছবি: রয়টার্স

দক্ষিণ সুদানে গতকাল বুধবার রাশিয়ায় তৈরি যাত্রীবাহী একটি কার্গো বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ৪১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। দক্ষিণ সুদানের রাজধানী জুবার একটি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই এটি বিধ্বস্ত হয়। খবর এএফপি, রয়টার্স ও আল-জাজিরার।
দক্ষিণ সুদানে এই কার্গো বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার মাত্র চার দিন আগে গত শনিবার মিসরের সিনাই উপত্যকার পার্বত্য এলাকায় রাশিয়ার আরেকটি বিমান বিধ্বস্ত হলে ২২৪ জন নিহত হন। ওই ঘটনার কারণ উদ্ঘাটনের জোর চেষ্টা চলার মধ্যেই এ ঘটনা ঘটল।


দক্ষিণ সুদানের বিমান কর্মকর্তারা জানান, গতকাল জুবা বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই হোয়াইট নিল নদীর তীরে আছড়ে পড়ে বিমানটি। বিমানবন্দরটি নদীর খুব কাছেই অবস্থিত। দেশটির প্রেসিডেন্টের একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে জানান, দুর্ঘটনায় বিমানের একজন ক্রু ও এক শিশু আরোহী প্রাণে বেঁচে গেছেন।
জাতিসংঘ-সমর্থিত একটি বেতার স্টেশনের খবরে বলা হয়, বিমানটি জুবা বিমানবন্দর থেকে আপার নিল রাজ্যের পালোচ এলাকা অভিমুখে যাচ্ছিল। উড্ডয়নের পর রানওয়ে থেকে মাত্র ৮০০ মিটার দূরেই এটি বিধ্বস্ত হয়।
প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র আরও বলেন, বিমানটিতে ক্রু, ১০-১৫ জন যাত্রীসহ ২০ জনের মতো আরোহী ছিলেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে আরোহী ছাড়াও যে স্থানে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়, সেখানকারঅজ্ঞাতসংখ্যক বাসিন্দাও রয়েছেন। হতাহত ব্যক্তিদের সঠিক সংখ্যা নির্ণয়ে কাজ চলছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, দুর্ঘটনায় অন্তত ৪১ জন নিহত হয়েছেন। রয়টার্সের একজন সাংবাদিকও বলেন, ঘটনাস্থলে ৪১ জনের লাশ দেখেছেন তিনি। এএফপির একজন সংবাদদাতা জানান, দুর্ঘটনার পর জীবিত ব্যক্তিদের সন্ধানে উদ্ধার তৎপরতায় যোগ দেন স্থানীয় লোকজন। বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে কয়েক ব্যক্তির লাশ অন্যত্র সরিয়ে নিতে দেখেছেন তিনি।
খারাপ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হওয়ার কথা জানিয়ে ঘটনাস্থল থেকে আল-জাজিরার সংবাদদাতা হিবা মরগান বলেন, ‘জুবায় ভারী বৃষ্টিপাত চলছে। এতে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধারের কাজ জটিল হয়ে পড়েছে। বিমান আরোহীদের অনেকের সিট বেল্ট বাঁধা ছিল না বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
জুবা বিমানবন্দরটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ দক্ষিণ সুদানের সবচেয়ে ব্যস্ত বিমানবন্দর। এখান থেকে নিয়মিত বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনা ছাড়াও সামরিক বিমান ও সড়কপথ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকা দেশটির প্রত্যন্ত অঞ্চলে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার কাজে কার্গো বিমানের জরুরি চলাচল রয়েছে।