লামায় স্মরণকালের বন্যায় প্লাবিত এলাকায় পানির সব ক’টি উৎস নষ্ট হয়েগেছে। পরিমান জানা যায়নি, তবে ৯০% রিংটিউব ওয়েল ডুবে পানীয়জল সংকট বিদ্যমান। প্রান্তিক মানুষের ৮০% স্যানিটারি (টয়লেট) নষ্ট হয়েগেছে। পানিতে ডুবে কৃষকের গৃহপালিত পশু গরু ছাগল কিছুটা রক্ষা পেলেও হাস মুরগী আর নেই। বন্যা পরবর্তী সময়ে দিন মজুর, প্রান্তিক মানুষের খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। দুর্যোগ ও ত্রান মন্ত্রনালয় থেকে এ পর্যন্ত (১০ আগষ্ট) লামা উপজেলার জন্য ২৫ মে:টন চাউল ও নগদ ১লাখ ৩০ হাজার টাকা ও পৌরসভার জন্য ১০ টন চাউল ও নগদ ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ এসেছে। এ ছাড়া পার্বত্য বান্দরবান জেলা পরিষদ থেকে ৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। এ সব বরাদ্দ ১ পৌরসভা ও ৭ ইউনিয়নে বিভাজন করে দেয়া হয় বলে সূত্রে জানাযায়। এ ছাড়া গত কয়েকদিন ধরে আপদকালীন সহায়তা হিসেবে পার্বত্য মন্ত্রীর পক্ষ থেকে দলীয় নেতৃবৃন্দরা সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন। সার্বিক বিবেচনায় দুর্যোগে ক্ষতির চেয়ে সরকারি বরাদ্দ অপ্রতুল। ক্ষতির মাত্রা এত বেশি যা কেটে উঠতে কয়েকমাস কষ্টে সময় পার করতে হবে। জীবনের প্রতিটি অবলম্বনে আঘাত হেনেছে স্মরণকালের এই বন্যা। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সকল শ্রেণির মানুষ।