ঠিকাদার খালেক ও সহকারী প্রকৌশলী আনিসুলের দুর্নীতিঠিকাদার খালেক ও সহকারী প্রকৌশলী আনিসুলের দুর্নীতির রুখবে কে? (পর্ব-২)
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ :
বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৪
শেয়ার
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
১০ই নভেম্বর-০২৪ ইং তারিখে জাতীয় দৈনিক বর্তমানে কথা প্রতিকার প্রথম পাতায় “”ঠিকাদার খালেক ও সহকারী প্রকৌশলী আনিসুলের দুর্নীতি রুখবে কে”” শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার পর সহকারী প্রকৌশলী আনিসুল নিজের নজিরবিহীন অনিয়ম-দূর্নীতির সংবাদ ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তার মাসিক মাসোয়ারা প্রাপ্ত তথাকথিত গণমাধ্যম কর্মী নামধারী দালাল গং ও বহিরাগত দালালদের নিয়ে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রধান কার্যালয়ে সরকারি কাজ বাদ দিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা মিটিং করছেন।তারই ধারাবাহিকতায় ১২-১১-২০২৪ ইং তারিখে সন্ধ্যা ছয়টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত সরকারি বিদ্যুৎ বিল খরচ করে আনিসুল তার অনিয়ম দুর্নীতির দসোরদের নিয়ে মিটিং করেছেন বলে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রধান কার্যালয় সুত্রে জানা যায়।
প্রথম পর্বের প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর সহকারী প্রকৌশলী আনিসুল ইসলাম এর অবাক করা দুর্নীতি আরেকটি নির্মম অপকর্মের অভিযোগ আসে এই প্রতিবেদককের কাছে।অভিযোগকারী বলেন সহকারী প্রকৌশলী আনিসুল অনিয়ম ও দুর্নীতির টাকায় রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুর সাত মসজিদ রোড সংলগ্ন যেই বহুতল ভবনটি নির্মাণ করেছিলেন,সেই ভবনের মধ্যে সব গুলো সেগুন কাঠের দরজা ব্যবহার করা হয়েছিল। উক্ত ভবনে যেই ঠিকাদার সেগুন কাঠের দরজা গুলো আনিসুলকে সাপ্লাই দিয়েছিলেন সেই ঠিকাদার সাপ্লাই কাজের মাঝপথে মারা যাওয়ার পর তার ছেলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিবেদককে বলেন আমার বাবা মারা যাওয়ার আগে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার আনিসুল ইসলাম স্যার এর মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন সাত মসজিদ রোড এর বাড়ি নির্মাণের সময় আমার পিতা পুরো বাড়ির সেগুন কাঠের দরজায় সাপ্লাই করেন এবং সাপ্লাইয়ের মাঝ পথে আমার বাবা মারা যাওয়ার পর ইঞ্জিনিয়ার আনিসুল ইসলাম স্যার আমার বাবার সাপ্লাই দেওয়া ৬০টি বেগুন কাঠের দরজার টাকা না দিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগকারী জানান।অনুসন্ধানে আর জানা যায় ২০২১/২২ সালে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আওতাধীন ৪০ জেলায় গাড়ি প্রশিক্ষণের ৯০ ফিট র্যাম ও গাড়ি রাখার সেড নির্মাণের দরপত্র আহবান করে।উক্ত দরপত্রের বিপরীতে সহকারী প্রকৌশলী আনিসুল ইসলাম তার অনিয়ম দুর্নীতি সিন্ডিকেট ঠিকাদারদের মধ্যে ৪০ টি জেলার কাজ শতকরা ১০% কমিশনের বিনিময়ে বন্টন করেছেন বলে জানা যায়।এখানে উল্লেখ থাকে যে উক্ত কাজের মধ্যে এসকে এন্টারপ্রাইজের মালিক খালেকুজ্জামান মুন্সি কে নওগাঁ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও জয়পুরহাট জেলার কাজ ১০% কমিশনের বিনিময়ে দিয়েছেন।খালেকুজ্জামান মুন্সী থেকে উল্লেখিত তিনটি জেলার শতকরা ১০% কমিশনের টাকার মধ্যে অগ্রিম তিন লক্ষ টাকা এবং কাজের কার্যাদেশ পাওয়ার পর তৎকালীন সময় দুপুর আনুমানিক দেড়টা থেকে দুইটার ভিতরে খালেকুজ্জামান মুন্সী থেকে যুব উন্নয়ন প্রধান কার্যালয় নিয়েছেন এই আলোচিত ক্রিম কালার এর লেদারের ব্যাগে করে।
গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত ঠিকাদার এসকে এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী খালেকুজ্জামান মুন্সী ও সহকারী প্রকৌশলী আনিসুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।অভিযোগ সুত্রে জানা যায় বিগত বছর গুলোতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী এসকে এন্টারপ্রাইজ এর মালিক খালেকুজ্জামান মুন্সি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে যত গুলো কাজ পেয়েছে তার প্রতিটি কাজের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন এক সময়ের ছাত্রলীগ নেতা সহকারী প্রকৌশলী আনিসুল ইসলাম এবং ওই সকল কাজের বিনিময়ে তিনি শতকরা ১০% হারে কমিশন নেওয়ার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।অভিযোগে আরো জানা যায় বিগত পনেরো বছর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর সহকারী প্রকৌশলী আনিসুল ইসলাম যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে ক্ষমতার অপব্যবহার করে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারের কোটি কোটি টাকা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। তৎকালীন ফ্লাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক থেকে শুরু করে কোন কর্মকর্তাকেই তিনি পাত্তা দিতেন না,এমনকি কোন কর্মকর্তা কার এই সকল অনিয়ম-দূর্নীতির বিরুদ্ধে জানতে চাইলে তিনি প্রকাশ্য বলে বেড়াতেন আওয়ামী লীগ সরকার যতদিন ক্ষমতায় আছে ততদিন পর্যন্ত আপনারা কেউই আমার কিছুই করতে পারবেন না।তার ঊর্ধ্বতন ও অধীনস্থ কর্মকর্তাদের তিনি এই বলে শাসিয়ে রাখতেন যে এসকে এন্টারপ্রাইজের মালিক খালেকুজ্জামান মুন্সি সহ আওয়ামী লীগের যত ঠিকাদার আছে তাদের যেই কোন কাজের বিষয়ে আপনারা আপনারা নাক গলাবেন না,এরপরেও যদি আপনারা আমার কাজের বিষয়ে নাক গলান তাহলে আপনাদের পরিণতি কি হবে তা বিগত দিনে প্রমাণিত।সহকারী প্রকৌশলী আনিসুল ইসলামের তৎকালীন সময়ের ওই সকল কথাবার্তা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ওপেন সিক্রেট ছিল।এখানে উল্লেখ থাকে যে এসকে এন্টারপ্রাইজ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে বিগত বছর গুলোতে যতগুলো কাজ পেয়েছিলো প্রতিটি কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে বিল বাগিয়ে নিতে সকল ধরনের সহযোগিতা করেন সহকারী প্রকৌশলী আনিসুল ইসলাম,এবং এসকে এন্টারপ্রাইজ এর কাজের বিপরীতে জমা দেওয়া কাগজপত্র ও সম্পন্ন করা কাজগুলোর বিষয়ে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটির মাধ্যমে তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে থলের বেড়াল।
অভিযোগ সুত্রে আরও জানা যায় এসকে এন্টারপ্রাইজ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারি কাজের বিপরীতে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দরপত্র আহবান করেন,উক্ত প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির মধ্যে অংশগ্রহণকারী ঠিকাদারদের ব্যাংক গ্যারান্টি,হালনাগাদ নবায়নকৃত ট্রেড লাইসেন্স,ট্যাক্স,ভ্যাট সহ আনুষঙ্গিক যাবতীয় কাগজপত্রের শতভাগ সঠিকভাবে দেওয়ার শর্ত থাকলেও এসকে এন্টারপ্রাইজের মালিক খালেকুজ্জামান মুন্সীর ব্যাপারে ঐ সকল শর্ত কখনো শতভাগ পূরণ না করেই দরপত্র আহবানের বিপরীতে জালিয়াতির মাধ্যমে ঠিকাদার অংশগ্রহণ করে কাজ বাগিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন সহকারী প্রকৌশলী আনিসুল ইসলাম এর মতো একজন মহা দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার পৃষ্ঠপোষকতার কারণে।এখানে উল্লেখ থাকে যে এসকে এন্টারপ্রাইজের মালিক খালেকুজ্জামান মুন্সী ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন না করে কম্পিউটার মাধ্যমে স্ক্যান করিয়ে বসিয়ে দিয়ে ওই প্রিন্ট কপি দরপত্র অংশগ্রহণ করার সময় জমা দিয়েছে বহুবার,এতে করে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত প্রকৃত ঠিকাদাররা নিজেদের প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে কাগজপত্র শতভাগ সঠিকভাবে জমা দিয়ে দরপত্রের বিপরীতে কাজে অংশগ্রহণ করেও কমিশন বাণিজ্যের কারণে ন্যায্য কাজ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। সহকারী প্রকৌশলী আনিসুল ইসলামের প্রতিটা কাজের বিপরীতে শতকরা ১০% হারে কমিশন নেওয়ার কথা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রধান কার্যালয়ে ওপেন সিক্রেট।অভিযোগ সুত্রে আরো জানা যায় এসকে এন্টারপ্রাইজের মালিক খালেকুজ্জামান,তানিমা এন্টারপ্রাইজের মালিক মোঃ সেলিম এর কাজের বিপরীতে জামানতকৃত ৩,৩২,৩৪৪ টাকার চেক তানিমা এন্টারপ্রাইজের প্যাড সিল ও স্বাক্ষর জাল জালিয়াতির মাধ্যমে জমা দিয়ে উত্তোলন করে নিয়ে যায়।ঠিকাদার খালেকুজ্জামান মুন্সি,তানিমা এন্টারপ্রাইজের উক্ত চেক জাল জালিয়াতের মাধ্যমে তুলে নেওয়ার পিছনে মূল পৃষ্ঠপোষক সহকারী প্রকৌশলী আনিসুল ইসলাম। একটি বিষয় উল্লেখ থাকে যে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ আনুমানিক নয় কোটি টাকার উপরে ৯ জেলার কাজের বিপরীতে তালিকাভুক্ত ঠিকাদারদের থেকে দরপত্র আহবান করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত করে উক্ত দরপত্রে ঠিকাদারদের অংশগ্রহণের তারিখ ৬-১০-২০২৪ ইং। কিন্তু অবাক করা বিষয় মহা দুর্নীতিবাজ সহকারী প্রকৌশলী আনিসুল ইসলাম এর প্রধান পৃষ্ঠপোষকতায় জাল জালিয়াতির মাস্টারমাইন্ড খ্যাত এসকে এন্টারপ্রাইজের মালিক খালেকুজ্জামান মুন্সী অতীতের ন্যায় জাল জালিয়াতির কাগজপত্র জমা দিয়ে উক্ত দরপত্রে অংশগ্রহণ করে।
৬-১০-২৪ইং তারিখে এসকে এন্টারপ্রাইজের অংশগ্রহণ করা প্রসঙ্গে বেশ কয়েকজন ঠিকাদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিবেদক কে বলেন সহকারী প্রকৌশলী আনিসুল ইসলাম যতদিন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের এই দায়িত্বে আছে তত দিন জাল জালিয়াতির মাস্টারমাইন্ড খ্যাত এসকে এন্টারপ্রাইজের মালিক খালেকুজ্জামান মুন্সি দুই নাম্বার কাগজপত্র জমা দেওয়ার পরেও কাজ পেয়ে যাবেন কারণ ওই যে অগ্রিম শতকরা ১০% কমিশন সহকারী প্রকৌশলী আনিসুল ইসলাম নিয়েছেন তাই। ঠিকাদার আরো জানান সহকারী প্রকৌশলী আনিসুল ইসলাম স্যারের অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলতি বছর ও বিগত বছর গুলোতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরেও তিনি এক বিন্দু পরিবর্তন হন নাই,এমনকি কাজের বিপরীতে তাকে তার চাহিদা মত শতকরা ১০% হারে অগ্রিম টাকা না দিয়ে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে কাজ পাওয়া অন্ধের দেশে চশমা বিক্রি করার সমান।বেশ কয়েকজন ঠিকাদার আক্ষেপের সুরে বলেন বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সময় সহকারী প্রকৌশলী আঞ্চল ইসলাম ২০২১/২২ অর্থবছরে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ একসাথে ৪০ টি জেলায় ভবন মেরামত করার জন্য দরপত্র আহবান করে।উক্ত দরপত্রের প্রতিটি কাজের বিপরীতে সহকারী প্রকৌশলী আনিসুল ইসলাম তার অনিয়ম দুর্নীতির আস্থাভাজন হিসেবে খ্যাত দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড এস কে এন্টারপ্রাইজের মালিক খালেদুজ্জামান মুন্সির মাধ্যমে প্রতিটা কাজের বিপরীতে ঠিকাদারদের তিন লক্ষ টাকা করে ৪০ জেলার কাজে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা অগ্রিম ঘুষ নিয়ে মোহাম্মদপুর সাত মসজিদ রোডে ৮ তলা ভবনের কাজ শুরু করেন বর্তমানে উক্ত বাড়িটির সাত তলার ছাদ ঢালাই এর কাজ অপেক্ষমান।
অভিযোগের সূত্র ধরে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে কয়েকজন কর্মকর্তা কর্মচারীর সাথে এসকে এন্টারপ্রাইজ স্বত্বাধিকারী খালিদুজ্জামান মুন্সী ও তার অনিয়ম দুর্নীতির প্রধান পৃষ্ঠপোষক সহকারী প্রকৌশলী আনিসুল ইসলাম এর বিষয় জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিডি পদমর্যাদার দুই জন কর্মকর্তা বলেন জাল জালিয়াতির কারণে এসকে এন্টারপ্রাইজ এর মালিক খালেকুজ্জামান মুন্সির চেক বিভিন্ন সময় স্থগিত রাখার পরে সহকারী প্রকৌশলী আনিসুল ইসলাম সাহেব আমাদেরকে চাপ সৃষ্টি করে এসকে এন্টারপ্রাইজের চেক দিতে বাধ্য করেন।অনুসন্ধানে জানা যায় সহকারী প্রকৌশলী আনিসুল ইসলাম শুধু এসকে এন্টারপ্রাইজের মালিক জাল জালিয়াতির মাস্টারমাইন্ড খ্যাত খালেকুজ্জামান মুন্সিকেই পৃষ্ঠপোষকতা করেন না আরও এমন অনেক ঠিকাদারদের তিনি কমিশন বাণিজ্যের বিনিময়ে কাজ দিয়ে রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুর সাত মসজিদ রোড আদাবর এলাকায় শাশুড়ি,শ্যালক,স্ত্রী,ছেলে ও মেয়ের নামে কয়েকটি বাড়ি তৈরী করা ছাড়া ও নামে বেনামে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়।#সহকারী প্রকৌশলী আনিসুল ইসলাম বর্তমানে তিনি রাজধানী ঢাকা জিগাতলা কাঁচা বাজার সংলগ্ন ৪১/২৩/৭ নম্বর বাড়িতে বসবাস করেন।বর্তমান জিলাতলা যেই বাড়িটিতে বসবাস করছেন সেই বাড়িটি তিনি তার চাকরির প্রথম জীবনের অনিয়ম ও দুর্নীতির টাকায় তৈরি করেছেন বলে জানা যায়।এছাড়াও প্রিয়তমা স্ত্রীকে খুশি করার জন্য লেটেস্ট মডেলের গাড়ি উপহার দিয়েছেন অনিয়ম ও দুর্নীতির টাকায়।এমনকি অফিস থেকে ঘুষের টাকা আগে বহন করতেন ক্রিম কালারের একটি লেদারের ব্যাগে,কিন্তু চলতি বছর তার অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে ক্রিম কালারের লেদারের ব্যাগ বাদ দিয়ে এখন পাটের ব্যাগের মাধ্যমে অফিস থেকে ঘুষের টাকা বহন করেন বলে জানান তারা।
এই সকল অভিযোগের বিষয়ে জানতে সহকারী প্রকৌশলী আনিসুল ইসলামের মুঠোফোনে ফোন দিয়ে ও খুঁদে বার্তা পাঠালে তিনি প্রতিবেদকের মুঠো ফোনে ফোন দিয়ে বলেন আমার অনিয়ম-দূর্নীতর সংবাদ প্রকাশিত করে আমার কিছুই করতে পারবেন না,কারণ আমি উপর মহলকে ম্যানেজ করে অতীতের ন্যায় এখনো আমার সিন্ডিকেট ধরে রেখেছি এবং বর্তমানে একই চেয়ারে বসে আছি কই অনেক পত্রিকায় আমার আর এসকে এন্টারপ্রাইজের মালিক খালেদুজ্জামান মুন্সির বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতি সংবাদ প্রকাশিত করে কিছুই তো করতে পারল না সুতরাং আপনাদের বর্তমান কথা পত্রিকায় আমাদের দুজনের অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশিত করেও কিছুই করতে পারবেন না।আনিসুল প্রতিবেদকের কাছে প্রশ্ন রাখেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে কি আমি একাই দুর্নীতি করি অন্য কেউ করে না? স্বীকৃত দুর্নীতিবাজ সরকারি প্রকৌশলী আনিসুল ইসলাম এই কথা বলে কি বুঝাতে চেয়েছেন তা বোধগম্য নয়।পরবর্তীতে এসকে এন্টারপ্রাইজের মালিক খালেকুজ্জামান মুন্সির মুঠোফোন একাধিকবার ফোন দিয়ে ও খুঁদে বার্তা পাঠানো হলেও কোন প্রকার সাড়া পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে এসকে এন্টারপ্রাইজের মালিক খালেকুজ্জামান মুন্সী বিভিন্ন লোক মারফত মৌখিক সংবাদ পাঠিয়ে প্রতিবেদককে বলেন এই দেশে কারো ক্ষমতা নেই আমি খালেকুজ্জামান মুন্সিকে কিছু করার!এই দেশে টাকা থাকলে আইন থাকে পকেটে? আর এখন তো অন্তবর্তী কালীন সরকার এরা কি করবে,এদের কিছুই করার ক্ষমতা নেই আমাকে এবং আমার বস সহকারি প্রকৌশলী আনিসুল ইসলাম প্রকৌশলী স্যার কে? আমরা বর্তমান প্রশাসন সহ উপরমহলকে অনেক আগেই ম্যানেজ করে নিয়েছি তাই কোন পত্রিকায় কি লিখল না লিখল এই সব নিয়ে আমাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই! বিস্তারিত আগামী পর্বে,,,,
যোগাযোগ: +৮৮০২৪৭১২২৭৩২, ০১৭১১৭৮৩৪১৪, সহ সম্পাদক: ০১৮৪৩৩৩৪১১১, ইমেইল: bartomankotha@gmail.com, ad.bortamankotha@gmail.com
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃত ৯২ আরামবাগ ক্লাব মার্কেট মতিঝিল ঢাকা ১০০০ থেকে প্রকাশিত এবং আরএস প্রিন্টিং প্রেস থেকে মুদ্রিত।