শেরপুর প্রতিনিধি
আসন্ন শেরপুর জেলা বিএনপির নয়া কমিটিকে ঘিরে জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবদলের সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম মাসুদের ক্লিন ইমেজকে বিতর্কিত করতে তার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার শুরু করেছে একটি পক্ষ। শফিকুল ইসলাম মাসুদের ছাত্র জীবন থেকেই বিএনপির অঙ্গ দল জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতি দিয়েই রাজনৈতিক জীবন শুরু। বিগত ১৬ বছর জেলার বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের দুঃশাসন ও নির্যাতন উপেক্ষা করে রাজনীতির মাঠে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মিটিং মিছিল ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন। আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে নির্যাতিত নেতাকর্মীদের সহায়তা ও খোঁজ খবর রাখাসহ কর্মীদের পাশে থেকে সাহস যুগিয়েছেন। ফলে সারা জেলার দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতা অন্য কারোর চেয়ে অনেক বেশি। এছাড়া ইতিপূর্বে ধানেরশীষ প্রতীক নিয়ে শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনগণের সুনজরে রয়েছেন বিএনপি নেতা মাসুদ। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে কোন ধরনের চাঁদাবাজিসহ অন্যকোন শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজের কোন অভিযোগও নেই। ফলে একজন ক্লিন ইমেজের নেতা হিসেবে তার গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি। দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ায় বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে শেরপুর জেলা বিএনপির ৩ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি প্রথমে স্থগিত করে বিএনপি। কিছু দিন না যেতেই সকল অভিযোগ তদন্তের মাধ্যমে ওই একই কমিটি বিলুপ্ত করেন কেন্দ্রীয় বিএনপি। সেইসাথে খুব দ্রুত নতুন কমিটি গঠন করা হবে বলে বিলুপ্ত করা কমিটির পেইডে উল্লেখ করেন। এটি জানার পর থেকেই শেরপুরের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা মো. শফিকুল ইসলাম মাসুদের নাম পুরো জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনায় আসেন।
এমনকি কেন্দ্র পর্যন্তও আলোচনা বিদ্যমান। এ জনপ্রিয়তা হিংসাত্বক ভাবে ভিন্ন খ্যাতে প্রভাহিত করতে একটি ষড়যন্ত্রকারী মহল শেরপুর সহ কেন্দ্রীয় কমিটিকে ভূল বুঝানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। শেরপুরের কমিটিকে ঘিরে পর পর একাধিক কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে তদন্ত করার জন্য এসেছিলেন। সকল পর্যায়ের তদন্ত রিপোর্ট বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে রয়েছে। সকল কিছু বিবেচনা করেই শেরপুর জেলা বিএনপির নতুন কমিটি গঠন করা হবে।
এব্যাপারে জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিবিদ এডভোকেট জাহিদুল হক আধার বলেন, একজন শফিকুল ইসলাম মাসুদ একদিনে তৈরি হয়নি। অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে আজ মাসুদ শেরপুরের মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে যার কোন কলঙ্ক নেই। একজন স্বচ্ছ রাজনীতিবিদ হিসেবে সকলের মন জয় করতে পেরেছেন।
জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি সিনিয়র এডভোকেট মুখলেছুর রহমান জীবন বলেন, শেরপুরে প্রতিটি মানুষের মুখে মুখে শুধু শফিকুল ইসলাম মাসুদের নাম। যিনি ছাত্রদলের সভাপতি যুবদলের আহ্বায়ক ও সভাপতি জেলা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন সততা ও দক্ষতার সঙ্গে। তিনি শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রায় ৫৭ হাজার ভোট পেয়ে শেরপুর বাসীর মধ্যে আলোচনা আসেন। আসন্ন জেলা বিএনপির কমিটিকে ঘিরে একটি পক্ষ নতুন করে কলঙ্ক দেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। শেরপুরে শফিকুল ইসলাম মাসুদের বিকল্প একমাত্র সেই।
জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক সেলিম শাহি বলেন, তারেক রহমানের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। আমরা প্রত্যাশা করি দলের ক্রান্তিলগ্নে যারা রাজপথে ছিলো পুলিশের দেয়া ডজনকে ডজন মামলার আসামী হয়েও কর্মীদের নিয়ে দলের কর্মসূচি পালন করেছেন তাদের মূল্যায়ন করবে দল। নতুন কমিটিকে কেন্দ্র করে ষড়যন্ত্রকারী একটি পক্ষ এ জেলায় সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদের মতো একজন ক্লিন ইমেজের নেতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তবে শেরপুর সম্পর্কে কেন্দ্রীয় নেতাসহ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অবগত রয়েছেন। তাই এসব ষড়যন্ত্র করে কোন লাভ হবে না। বরং মাসুদের জনপ্রিয়তা আরো বৃদ্ধি পাবে।
জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি শ্রী জিতেন্দ্র মজুমদার বলেন, শফিকুল ইসলাম মাসুদ ছাত্রদল থেকে আজ এ পর্যন্ত এসেছেন। তার বিরুদ্ধে অতীতে কোন ধরনের ক্লেম নেই। যা গোয়েন্দা সংস্থা সহ শেরপুরের সাধারণ মানুষ তা জানেন। আমরা এবার তাকে নিয়ে প্রত্যাশা করছি নতুন কমিটিতে দলের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বাগিয়ে নিবেন।
জেলা তাতীদলের আহ্বায়ক লালন মোল্লা বলেন, মাসুদকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করে কোন লাভ হবেনা। মাসুদ সম্পর্কে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্র অবগত। পদের প্রতিযোগিতা থাকা ভালো মিথ্যা বানোয়াট তথ্য প্রচার করে মাসুদের মতো একজন যোগ্য নেতাকে কোন ভাবেই হুঁচট খাওয়ানো যাবেনা। তার সাথে দলের নেতাকর্মী সহ সর্বসাধারণ রয়েছে।