স্টাফ রিপোর্টার:
চিনির দাম কেজিতে ৬ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এর মাধ্যমে খোলা চিনি প্রতি কেজি ৯০ টাকা, আর প্যাকেটজাত চিনি ৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হলো। এছাড়াও পাম অয়েল সুপার প্রতি লিটারে ৮ টাকা কমিয়ে ১২৫ টাকা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এক সভা শেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। বাণিজ্যসচিব বলেন, (বৃহস্পতিবারের) সভায় সিদ্ধান্ত হলো বেশি দামের যে তেল বাজারে আছে সেটা আগের দামে বিক্রি করতে হবে। এখন যে তেল বাজারে যাবে সেটা লিটারে ১৪ টাকা কম দামে বিক্রি হবে। আর চিনি ও পাম অয়েল এই দুটির দাম পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বিকেলের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে অ্যাসোসিয়েশন। তিনি বলেন, নতুন দাম অনুযায়ী পাম অয়েল সুপার প্রতি লিটারে ৮ টাকা কমিয়ে ১২৫ টাকা করা হয়েছে, যা আগে ১৩৩ টাকা লিটার বিক্রি হতো।
একই সঙ্গে চিনির দাম ৬ টাকা বাড়িয়ে খোলা চিনি প্রতি কেজি ৯০ টাকা আর প্যাকেটজাত চিনি ৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কারণ আমরা আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত ডলারে দাম ধরতাম না। বর্তমানে ১০৫ টাকা দরে ডলার ধরলে চিনির দাম বেশি হয়। সেজন্য কেজিতে ৬ টাকা বাড়ানো হয়েছে। সয়াবিন এরইমধ্যে লিটারে ১৪ টাকা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাণিজ্যসচিব বলেন, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের পর পাম অয়েল সয়াবিন তেল বলে বিক্রি করা যাবে না। একইসঙ্গে খোলা সয়াবিন বিক্রি বন্ধে শিগগির পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাম অয়েল খোলাবাজারে পাওয়া যায় না, সয়াবিন তেল হিসেবে বিক্রি হয়ে থাকে, সেটা নিয়ন্ত্রণে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কি না, জানতে চাইলে বাণিজ্যসচিব বলেন, এ ক্ষেত্রে শিল্প মন্ত্রণালয়ের একটা আইন আছে। সেই অনুযায়ী শিল্প মন্ত্রণালয় এটা দেখে থাকে, পাম অয়েল প্যাকেটে বিক্রি হবে নাকি খোলা বিক্রি হবে। সয়াবিনের জন্য চলতি বছরের ৩১ জুলাই ছিল শেষ তারিখ। ৩১ ডিসেম্বর হচ্ছে পাম অয়েলের জন্য। তিনি বলেন, যেহেতু ওই সময়ে তেলের দাম অনেক বেশি ছিল। সেজন্য উচ্চপর্যায়ে সিদ্ধান্ত হয় সয়াবিনের ক্ষেত্রে একটু পিছিয়ে দেওয়া। কারণ প্যাকেট সবাইকে করতে হলে একটু দাম বেশি পড়বে। যেহেতু তেলের দাম কমে যাচ্ছে, তাই কিছুদিনের মধ্যে এটা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবো। সেক্ষেত্রে সয়াবিন খোলা পাওয়া যাবে না।
আর পাম অয়েলের জন্য সময় আছে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আমরা দেখবো ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা যায় কি না। ট্যারিফ কমিশনের মাধ্যমে ৯টি পণ্যের মূল্য নির্ধারণ প্রসঙ্গে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, তার অংশ হিসেবে আজকে এ মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হলো। রড-সিমেন্টের দামের কথা বেশি আলোচিত হয়েছিল। সেটা নিয়ে তারা কাজ করছে। বিভিন্ন তথ্য নিতে হয়। চাল, আটাসহ অন্য সব পণ্য নিয়ে কৃষিপণ্য বিপণন আইন ২০১৮ রয়েছে। সেই অনুযায়ী কৃষি মন্ত্রণালয় দাম নির্ধারণ করবে। এ বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আরও বলেন, ১৯৫৬ সালের আইন অনুযায়ী কিছু পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার ক্ষমতা সরকারের আছে। কিন্তু ২০১৮ সালের আইন অনুযায়ী- এ ৯টি পণ্যসহ অন্যান্য পণ্যের দাম কৃষি মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করবে। এ বিষয়ে আমাদের সমন্বয় করতে হবে।