নজরুল ইসলাম জুলু:
রাজশাহী নগরীতে চলতি সপ্তাহে কয়েকটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। দিনে রাতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিনতাই চক্রের মূলহোতারা। ভুক্তভোগী থানায় একটি অভিযোগ করছেন।
কিন্তু রহস্যজনক কারণে গ্রেপ্তার হচ্ছেনা ছিনতাইকারীরা। যার ফলে আতঙ্ক বিরাজ করছে নগরবাসীর মাঝে। ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহার করছে দামী মোটরসাইকেল। এদের বয়স ১৮ থেকে ২৫ এর মধ্যে। এই চক্রটি অধিকাংশ মাদকাসক্ত। ছিনতাইকারীরা নারীদেরকেই বেশি টার্গেট করছেন।
সন্ধ্যার পর কেনাকাটার উদ্দেশ্য বাজার যাওয়া কিংবা নিয়মিত হাটা চলা থেকে ভয়ে বিরত থাকছেন নারীরা।
এদিকে (১ মার্চ) বুধবার দিনগত রাতে ছিনতাইকারীদের হামলার শিকার হয়েছেন রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের (আরইউজে) সভাপতি রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ও শিশু কন্যা। মহানগরীর রাজপাড়া থানার নতুন বিলসিমলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গত বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) দুপুরে আরইউজের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈয়বুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হক এক বিবৃতিতে বলেন, বুধবার রাত সোয়া ৮টার দিকে আরইউজে সভাপতি রফিকের স্ত্রী তার দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে অটোরিকশা করে তেরোখাদিয়া এলাকার বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় চার ছিনতাইকারী তাদের পথরোধ করে রফিকের স্ত্রীর কাছে থাকা ব্যাগটি ছিনিয়ে নেয়।
রফিকের স্ত্রী বাধা দিতে গেলে তিনি তার দুই বছরের শিশু কন্যাসহ রিকশা থেকে পড়ে যান। এ সময় তারা গুরুতর আহত হন।
তবে রফিকের আট বছরের শিশুপুত্র শরীরে আঘাত পায়নি। ছিনতাইকারীরা এ সময় রফিকের স্ত্রীর ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ওই ব্যাগে মোবাইল ফোন ও নগদ টাকাসহ অন্য গুরুত্বপূর্ণ জিনিস ছিল। এরপর স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
সাংবাদিক নেতারা বলেন, এ ধরনের ছিনতাইয়ের ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ ধরনের ঘটনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকাণ্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। আমরা এ ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দাও প্রতিবাদ জানাই। অতিদ্রুত ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
এদিকে মহানগর পুলিশের দাবী ‘ছিনতাইয়ের ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজেই থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। ছিনতাইকারীকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ ইতোমধ্যেই অভিযান শুরু করেছে। আশা করছি, দ্রুতই ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার হবে।’