মোঃ ফয়জুল ইসলাম আরিফ
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে কমিটিতে স্থান পাননি বঙ্গবন্ধু কটুক্তি কারি। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ও তার অনুসারীরা। কমিটি ঘোষণার পর থেকে বঙ্গবন্ধু কটুক্তিকারী জাহাঙ্গীর আলম এবং তার অনুসারীরা সোশ্যাল মিডিয়ায়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী সদ্য ঘোষিত কমিটিকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে বিভিন্ন রকম ফেসবুকে পোস্ট করে দলের গঠনতন্ত্রের উপরে আঘাত এনে মন্তব্য করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর কটুক্তি কারী জাহাঙ্গীর আলম এবং তার বাহিনীরা। এদিকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাঝে আনন্দ উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা গেছে। গতকাল শুক্রবার নগরীর সাইনবোর্ড থেকে বোর্ড বাজার পর্যন্ত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ জনসমর্থন নিয়ে গাজীপুরের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন মন্ডল এর নেতৃত্বে বিশাল আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে
গত ০২ জুলাই মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত পত্রে এই কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আগে ২০২২ সালের ১৯ নভেম্বর গাজীপুরের ভাওয়াল রাজবাড়ী মাঠে মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সভাপতি পদে পুনরায় অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মন্ডলকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন। গতকাল ০৩ জুলাই বুধবার সন্ধ্যায় নব ঘোষিত কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান এসব তথ্য আমাদের প্রতিনিধিকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ৭৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন। কমিটিতে ২৮ সদস্যর একটি উপদেষ্টা পরিষদও অনুমোদন দেওয়া হয়। এই কমিটির মেয়াদ থাকবে তিন বছর।’
কমিটিতে অন্যান্য পদে রয়েছেন সহসভাপতি বেগম শামসুন নাহার, মতিউর রহমান মতি, আব্দুল হাদী শামীম, রেজাউল করিম ভূঁইয়া, মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন, ওসমান আলী, আসাদুর রহমান কিরণ, সফর উদ্দিন খান, শেখ আসাদুল্লাহ, হেদায়েতুল ইসলাম এবং আব্দুল আলীম মোল্লা। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন আফজাল হোসেন সরকার রিপন, কাজী ইলিয়াস আহমেদ ও এবিএম নাসির উদ্দিন নাসির।
আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট খালেদ হোসেন, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক নাসির উদ্দিন মোল্লা, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক ফজলুর রহমান, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক, দফতর সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রাসেল, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আকতার হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল হালিম সরকার, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক সাইজ উদ্দিন মোল্লা, বিজ্ঞান ও প্রযুত্তিবিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ উল্লাহ, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক হোসনে আরা জুলি, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেকুজ্জামান, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হীরা সরকার, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান মাস্টার, শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক বাছির উদ্দিন, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক সোলায়মান মিয়া।
এ ছাড়া কমিটিতে মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল আহসান সরকার রাসেলকে সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক জাকির হোসেন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমান, এস এম আলতাব হোসেন ও আব্দুল্লাহ-আল মামুন মন্ডল। উপ-দফতর সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম দ্বীপ, উপ-প্রচার সম্পাদক সালমা বেগম ও কোষাধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
কমিটির সদস্যরা হলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, জাহিদ আহসান রাসেল, মেহের আফরোজ চুমকি, কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন, প্রফেসর এম এ বারী, অ্যাডভোকেট ওয়াজ উদ্দিন মিয়া, আব্দুর রউফ নয়ন, এস এম মোকছেদ আলম, আবু সাহিদ খান, অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন, আজিজুর রহমান শিরিশ, অধ্যক্ষ মহিউদ্দিন আহম্মেদ, আব্দুর রহমান মাস্টার, আনোয়ার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলু, জাহিদ আল মামুন, ব্যারিস্টার সাজ্জাদ হোসেন, আবুল কাশেম, মীর আসাদুজ্জামান (তুলা), খলিলুর রহমান, এম. এ হাজী আদম আলী, অ্যাডভোকেট আকতার হোসেন, এস এম আকরাম হোসেন, নীলিমা আক্তার লিলি, জালাল উদ্দিন, এস এম শামীম আহমেদ, খোরশেদ আলম রানা, মতিউর রহমান, অ্যাডভোকেট কামাল আহমেদ খান, সেলিম মিয়া, কবির হোসেন, আব্দুর রউফ, এইচ এম শাহজাহান মাস্টার, অরুন কুমার সাহা, কাজী সেলিম ও আলমগীর হোসেন খান।