News Episodes-১

পার্বত্য বান্দরবান জেলার বৃহত্তর একটি উপজেলা লামা (সাবেক মহকুমা)। উপজেলার বৃহত্তর ইউনিয়ন ৩ নং ফাঁসিয়াখালী। উপজেলার সব চেয়ে বেশী জন সংখ্যা সেখানে। ৭৪ বর্গমাইল আয়োতনের ইউনিয়নটিতে ৫ হাজারেরও বেশি পরিবার বসবাস করছেন। জনসংখ্যা প্রায় ৩৫ হাজার। মোট ভূমির পরিমান ৪৭৩৬০ একর। গ্রাম ও পাড়া ২৭টি। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের সাক্ষরতার হার ২৮.৫%। ইউনিয়নে ৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১টি দাখিল মাদ্রাসা, ১টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা, একটি মহিলা মাদরাসা, ১ টি গ্রামার ও ১ টি মডেল স্কুল রয়েছে। এছাড়াও বেশ কিছু নুরানি মাদ্রাসা ও এতিমখানা, ২টি উপজাতীয় অনাথ আশ্রম রয়েছে। উপজেলা সদর থেকে এ ইউনিয়নের দূরত্ব প্রায় ১২ কিলোমিটার। এ ইউনিয়নের পূর্বে লামা পৌরসভা, লামা ইউনিয়ন ও আলীকদম উপজেলার চৈক্ষ্যং ইউনিয়ন, দক্ষিণে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়ন, পশ্চিমে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়ন, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন, উত্তরে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর মানিকপুর ইউনিয়ন অবস্থিত।
একদা এই ইউনিয়নের গহীন জঙ্গলে নাইক্ষ্যংছড়ি বাইশ ফাঁড়ি সীমান্তে বিদেশী (আরএসও) জঙ্গিদের আস্তানা ছিল। এর কাছাকাছি লাগুয়া ঈদগড় জঙ্গলে বিক্ষিপ্তভাবে দেশীয় অস্ত্র কারখানাও ছিল। বিভিন্ন সময়ে পুলিশ ও যৌথ বাহিনী সেসব অস্ত্র ওয়ার্কশপে হানা দিয়ে অনেক দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ধরার ঘটনাও ঘটেছে। ২০১৮ সালে বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছেন র‌্যাব-৭। এগুলোর মধ্যে ১৪টি এসবিবিএল, ১১টি শুটারগান ও দুই হাজার ৩৭ রাউন্ড গুলি ছিল। অনুসন্ধানে জানাযায়, ইউনিয়নটিতে এখনো অস্ত্রধারী গ্রুপ মসসসসসড়রয়েছে। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় এরা প্রশাসন থেকে নিজেদেরকে আড়াল করে রাখতে সক্ষম থাকে। ভূমিদস্যুতা, সীমান্ত চোরাচালান, নেশাদ্রব্যের কারবার, চুরি ডাকাতিসহ সমাজকে এক ধরনের জিম্মি করে রেখে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে চলছে গুটিকয়েক জন। তথ্য বলছে, তৃণ পর্যায়ের কপতিপয় জনপ্রতিনিধি(মেম্বার) যেখানে যত অপকর্মের হোতা। তার বিরুদ্ধে ১৫টিরও বেশি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলার সাজাও হয়েছে। মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে সে আপিল করেছে।
পরবর্তী এপিসোডে থাকছে, ফাঁসিয়াখালী ইউপির কতিপয় মেম্বার নির্বাচন কমিশনে হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে মহা প্রতারণার বিস্তারিত তথ্য।