আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ইরানের শত্রুদের নতুন আতঙ্কের নাম শাহেদ-১৩৬ ড্রোন। এ ড্রোন দিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁত হামলা চালানো যায়। এবার ‘গাজা’ নামে নতুন ড্রোন উন্মোচন করল দেশটি।
সম্প্রতি কাতারের দোহায় আন্তর্জাতিক অস্ত্র মেলায় এ ড্রোন প্রকাশ্যে আনে দেশটি। অনেকের ধারণা, শক্তিশালী ‘শাহেদ’ ড্রোনের থেকেও প্রযুক্তিগত দিক থেকে এগিয়ে থাকবে ‘গাজা’।
বিভিন্ন ধরনের সমরাস্ত্র তৈরি করে অনেক আগে থেকেই আলোচনায় ইরান। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ড্রোন শিল্পে বিপ্লব ঘটিয়েছে দেশটি। খোদ পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমেই এ নিয়ে হয় আলোচনা-সমালোচনা। আফগানিস্তান, আজারবাইজান, তুর্কমেনিস্তান, কিরগিজিস্তান ও কাজাখস্তানের মতো দেশগুলো ইরানের তৈরি ড্রোনের ক্রেতা।
গাজায় ইসরাইলি বর্বরতায় সবসময় ফিলিস্তিনের পাশে রয়েছে ইরান। সেই সূত্র ধরে এবার বিশ্ববাজারে ‘গাজা’ নামের নতুন ড্রোন উন্মোচন করেছে দেশটি। এই ড্রোন ১৩টি বিধ্বংসী বোমা নিয়ে ৩৫ হাজার ফুট উচ্চতায় ১২০০ মাইল পর্যন্ত উড়ে যেতে পারে বলে জানা গেছে।
এর আগে ২০১১ সালের দিকে মার্কিন ড্রোনের প্রযুক্তি আপডেট করে নিজস্ব সিমোর্গ ড্রোন তৈরি করেন ইরানের বিজ্ঞানীরা। তখন থেকেই একের পর এক ড্রোনের ভার্সন তৈরি করছে ইরান। এর একটি হলো শাহেদ-১২৯। সেটিকে আরও ডেভেলপ শাহেদ-১৩৬-এ রূপান্তর করা হয়, যা বর্তমানে ইরানকে ব্যাপক আলোচনায় ফেলে দিয়েছে। কারণ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে শাহেদ-১৩৬ ড্রোন ব্যবহার করে দেশটিকে বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলে দিয়েছে রাশিয়া।
এশিয়া টাইমসের খবরে বলা হয়, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহী, লেবাননের হিজবুল্লাহ, ফিলিস্তিনের হামাস ও ইসলামিক জিহাদ এবং ইরাক ও সিরিয়ার ইরানসমর্থিত যোদ্ধারা ইরানি ড্রোন ব্যবহার করছেন।
এ ছাড়া ইরানের ড্রোনের বর্তমান ক্রেতা হচ্ছে আফগানিস্তান, আজারবাইজান, তুর্কমেনিস্তান, কিরগিস্তান ও কাজাখস্তানের মতো দেশগুলো। তবে এসব দেশ তুরস্ক ও অন্যান্য দেশের ড্রোনও কিনছে।
খোদ ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট শুক্রবার বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও অত্র অঞ্চলের বাইরে নিজের অত্যাধুনিক অস্ত্রের বিস্তার ঘটাচ্ছে ইরান।