• শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন

পায়রা বন্দরে ভাগভাটোয়ারার মাধ্যমে ঠিকাদারি কাজ দেয়া হয় বিএনপি-জামায়াত নেতাদের- সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের অভিযোগ

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : শুক্রবার, ৮ মার্চ, ২০২৪

পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরের নির্বাহী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াতের একটি সিন্ডিকেটের সঙ্গে যোগসাজশে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে শুক্রবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছে কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব তালুকদার।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বন্দরের নির্বাহী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিনের আত্মীয় স্বজন ও আশীর্বাদপুষ্টরা এবং বিএনপি জামায়াতের কিছু নেতা কর্মীদের নিয়ে একটা সিন্ডিকেট তৈরী করে পায়রা পোর্টের সকল ঠিকাদারী কাজ নিজেদের মধ্যে ভাগভাটোয়ারা করে কমিশন বানিজ্যে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের মহোৎসব করে যাচ্ছেন। । তিনি একটি সিন্ডিকেট তৈরী করে পায়রা পোর্টে একটি লুটপাট ও বিএনপি জামায়াতকে প্রতিষ্ঠিত করার একটি মিশন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
দীর্ঘদিন ধরে পায়রা বন্দরে কর্মরত থেকে বিএনপি জামায়াত ঘরোনা ও সরাসরি সরকার বিরোধী রাজনীতি ও ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত এমন ব্যক্তিদের সাথে সখ্যতা তৈরী করে পায়রা বন্দরের ঠিকাদারী কাজ যোগসাজসে বাগিয়ে নিয়ে নিজেরা এবং তাদের স্থানীয় সহযোগীরা অবৈধ অর্থের পাহাড় গড়েছেন। নাসির উদ্দিনের আপন বড় ভাই হাসান মাহমুদ পরিচালিত ওয়াটার বার্ডস লিমিটেড এবং এ বি কোম্পানী নামে দুইটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়াও তাদের একান্ত সহযোগী স্থানীয় বিএনপি ও সাবেক ছাত্রদলের নেতা লিটন গাজীর মালিকানাধীন মেসার্স নুরজাহান এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে বন্দরের সব কাজ সাব কন্ট্রাট দেন।।
বর্তমানে সবাই মনে করে প্রধান প্রকৌশলী নাসিরুদ্দিনের নেতৃত্ব বিএনপি জামাতের নিকট জিম্মি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার আশীর্বাদ পুষ্ট এ প্রতিষ্টানটি অবিলম্বে নাসিরুদ্দিন সরানোর মাধ্যমে বিএনপি জামাত মুক্ত হবে এটাই বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা প্রেমিক এলাকাবাসীর প্রত্যাশা।

সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, নাসির উদ্দিন তাদের তার অধিনে কর্মরত শ্রমিকদের সাথে অশ্লীল দুর্ব্যবহার করে বিতাড়িত করে দেন। তাদের দুর্ব্যবহার, মারমুখী আচরনকে ধামাচাপা দিয়ে ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য আমাদের দলীয় ভাবমুর্তী ক্ষুন্ন করে উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নামে অসত্য চাঁদাবাজীর তোকমা দিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে।

ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা কোনো চাঁদা চায়নি, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বা পায়রা পোর্টের কোনো কাজ বন্ধ হয়নি, বরং তারা নিজেরা উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে কাজ বন্ধ করে কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উপর অসত্য দায় চাপিয়ে সরকার ও দলের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা করছে এবং এই কারনেই স্থানীয় সাংবাকিদের কাছে কোনো সত্য তথ্য না থাকায় স্থানীয় সাংবাদিকরা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কতৃক দেয়া অসত্য তথ্যের উপর ভিত্তি করে এমন সংবাদ পরিবেশন করেননি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ