• বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন

নাইট্রোজেন গ্যাস দিয়ে বিশ্বে প্রথম মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৪

আর কয়েক ঘণ্টা পরই এক আসামিকে নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো আসামিকে এভাবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার নজির নেই। মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সিদ্ধান্ত স্থগিতের অনুরোধ জানিয়ে আসামি কেনেথ স্মিথের করা আবেদনটি গতকাল বুধবার খারিজ করেন আদালত। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, বুধবার রাত ১২টা থেকে শুরু করে আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৬টার মধ্যে এ দণ্ড কার্যকরের সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন আলাবামার গভর্নর কে আইভি। এটি হবে আমেরিকার নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রথম ঘটনা।

এর আগে ২০২২ সালে প্রাণঘাতী ইনজেকশন প্রয়োগ করে প্রথম দফায় কেনেথ স্মিথের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে তখন দণ্ড কার্যকরের সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়। আলাবামার রিপাবলিকান গভর্নর আইভি আলাবামা অঙ্গরাজ্যের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া নতুন করে পর্যালোচনার ঘোষণা দেন। এর কয়েক মাস পর পর্যালোচনা শেষ হয়। নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগ করে স্মিথের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের জন্য বৃহস্পতিবার তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

২০২৩ সালের মে মাসে দ্বিতীয় দফায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রচেষ্টা চালানোর এ সিদ্ধান্ত নিয়ে আদালতে চ্যালেঞ্জ করেন স্মিথ। তার আইনজীবী সূত্রে জানা গেছে, অঙ্গরাজ্যের স্থানীয় আদালতে স্মিথ বলেছিলেন, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রথম প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর দ্বিতীয় এ প্রচেষ্টা মার্কিন সংবিধানের অষ্টম সংশোধনীকে লঙ্ঘন করবে। ওই সংশোধনীতে নিষ্ঠুর ও অস্বাভাবিক শাস্তি প্রদানের বিরুদ্ধে বলা আছে। তাছাড়া ইনজেকশন প্রয়োগের মাধ্যমে প্রথম দফায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ওই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর মারাত্মক রকমের শারীরিক ও মনস্তাত্ত্বিক যন্ত্রণায় ভুগতে হয়েছে বলেও দাবি স্মিথের।

উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সালে এলিজাবেথ সেনেট নামের এক নারীকে খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হন স্মিথ। ২০২২ সালে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ স্মিথকে ইনজেকশন প্রয়োগ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অনুমতি দেন। ৯ জন বিচারপতিবিশিষ্ট আদালতের ৩ জন বিচারপতি এ সিদ্ধান্তের ব্যাপারে ভিন্নমত জানিয়েছিলেন।

এলিজাবেথ সেনেটকে খুন করার জন্য কেনেথ স্মিথ এবং তার এক সহযোগীকে ভাড়া করেছিলেন ওই নারীর স্বামী চার্লস সেনেট। আইনজীবীরা বলেছেন, স্ত্রীর বিমার টাকা পেতে এ ষড়যন্ত্র করেছিলেন চার্লস। পরে তিনি আত্মহত্যা করেন। এ হত্যার ঘটনায় স্মিথের সহযোগীকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ২০১০ সালে এ দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ