পাকিস্তানের সীমান্তে ইরানের বিমান হামলায় দুই শিশু নিহত হয়েছে। গতকাল বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের সরকারি কর্মকর্তারা। ইরাক ও সিরিয়ার পরপরই পাকিস্তানে এ হামলা চালানো হলো। তেহরানের ভাষ্য অনুযায়ী, ইরানবিরোধী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাচ্ছে তারা। খবর এএফপির। উভয় দেশের সীমান্তে চালানো এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে পাকিস্তান।
মঙ্গলবার দিনের শেষভাগে চালানো এই হামলাকে ‘পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য’ হিসেবে বর্ণনা করেছে পাকিস্তান। পাশাপাশি দেশটি বলেছে, অনর্থক এই হামলা চালানো হয়েছে। ইরান এ হামলা সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা নাউর নিউজ জানায়, এ হামলায় জিহাদি সংগঠন জইশ-আল-আদলের পাকিস্তানি সদর দপ্তর ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত এ সংগঠনটি সন্ত্রাসী তৎপরতার জন্য ইরানে কালো তালিকাভুক্ত।
গত কয়েক বছরে ইরানের ভূখণ্ডে বেশ কিছু হামলা চালিয়েছে তারা। সিরিয়ায় সন্ত্রাসী অবস্থান ও গোয়েন্দা সদর দপ্তরে এবং ইরাকের কুর্দি স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলে গত মঙ্গলবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ইরানের নাউর নিউজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বলেছে, ‘পাকিস্তানের জইশ-আল-আদল সন্ত্রাসী সংগঠনের সদর দপ্তরে কিছুক্ষণ আগে হামলা চালানো হয়েছে।’ পাকিস্তানের সরকারি কর্মকর্তারা অবশ্য জানাননি কোথায় এ হামলা চালানো হয়েছে। তবে ইরানের নাউর নিউজের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ হামলা চালানো হয়েছে পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের সীমান্তে। পাশাপাশি পাকিস্তানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ইরান-পাকিস্তানের মধ্যে প্রায় এক হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ বেলুচিস্তান সীমান্তে এ হামলা চালানো হয়।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের ওপর এ হামলা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য, যা গুরুতর পরিণতি বয়ে আনতে পারে। দেশটি বলেছে, তারা পাকিস্তানে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূততে তলব করে দেশের আকাশসীমা লঙ্ঘনের প্রতিবাদ জানিয়েছে। পাকিস্তান ও ইরান দুটি দেশই একে অন্যের বিরুদ্ধে জঙ্গি সংগঠনকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করে আসছে। তবে, সরকারি বাহিনীর সরাসরি হামলায় জড়িয়ে পড়ার ঘটনা বেশ বিরল।
You cannot copy content of this page