বিপুল-সুনীল-লিটন-রুহিনের খুনীদের গ্রেফতার ও ন্যায় বিচার পেতে পানছড়ি উপজেলা নির্বাহি অফিসারের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেছে ভিকটিমদের পরিবারের সদস্যরা। ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ , মঙ্গলবার পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনজন দাশ এর মাধ্যমে তারা এই স্মারক লিপি পেশ করেন।
স্মারক লিপিতে উল্লেখ করেন, গত ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ পানছড়ির অনিল পাড়ায় একটি যুব সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য অতুল চাকমার বাড়িতে রাত্রি যাপনের সময় রাষ্ট্রীয় বিশেষ গোষ্ঠির মদদ পুষ্ট ঠ্যাঙাড়ে নব্য মুখোশ সন্ত্রাসীদের হামলায় বিপুল চাকমা, সুনীল ত্রিপুরা, লিটন চাকমা ও রুহিন ত্রিপুরা নিহত হন । আরও তিনজনকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহরণের কয়েকদিন পর ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে ।
উক্ত ঘটনার এক মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করায় আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়, দুঃখ জনক হলেও সত্য যে, খুনীদের সম্পর্কে সুস্পষ্ট তথ্য থাকা সত্বেও ঘটনার এক মাসের অধিক সময় পরও তাদের কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। বরং সন্ত্রাসীরা বুক ফুলিয়ে খুন করার কথা স্বীকার করে বিভিন্ন জনকে ফোন করছে এবং বিপুলদের মতো আরও অনেককে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। এ অবস্থায় আমরা অত্যন্ত আশঙ্কিত যে, অবিলম্বে তাদেরকে গ্রেফতার করে বিচারের মাধ্যমে শাস্তি দেয়া না হলে তারা খুন সহ আরও জঘন্য অপরাধ সংঘটিত করতে পারে।
স্মারকলিপিতে ভিকটিমদের পরিবারের সদস্যরা ৩ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবি গুলো হলো- (১) আপনার পক্ষ থেকে বিপুল চাকমা, সুনীল ত্রিপুরা, লিটন চাকমা ও রুহিন ত্রিপুরার খুনীদের গ্রেফতার করতে সংশ্লিষ্ট পুলিশ বা নিরাপত্তাবাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হোক (২) খুনীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেয়া হোক এবং (৩) খুনীদের মদদদাতা ও খুনের পরিকল্পনা কারীদের চিহ্নিত করে তাদেরও বিচার করা হোক। স্মারক লিপি গ্রহনকালে পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনজন দাশ ভিকটিমদের পরিবারের সদস্যদের কাছে উক্ত ঘটনার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বিষয়টি দেখবেন এবং স্মারক লিপিটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেবেন বলে জানান।
এসময় সুনীল ত্রিপুরার পিতা সুকেন্দু ত্রিপুরা ও ছোট ভাই গনেশ ত্রিপুরা, রুহিন ত্রিপুরার স্ত্রী বাষ্প রাণী ত্রিপুরা ও তার ছেলে-মেয়ে, লিটন চাকমার মা বালা চাকমা ও ভাই মতি বিকাশ চাকমা,কাথাং ত্রিপুরার স্ত্রী অলকা রাণী ত্রিপুরা সহ নিহতদের পরিবারের সদস্যদের উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনজন দাশ কম্বল উপহার দেন।