খেলাধুলা ডেস্ক
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা পাননি তামিম ইকবাল। গত বুধবার এক ভিডিও বার্তায় এ নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেন তিনি। বিসিবির এক প্রভাবশালী কর্তার দিকে আঙুল তোলেন বাঁহাতি ওপেনার।
তামিম জানান, টাইগার বোর্ডের ওই কর্তা ফোন করে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে তাকে নিচের দিকে ব্যাট করার প্রস্তাব দেন। তবে তা মেনে নেননি তিনি। সেই সঙ্গে বিশ্বকাপের দলে না রাখার অনুরোধ করেন।
অবশেষে ওই কর্তার নাম জানা গেলো। তিনি আর কেউ নন, খোদ বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন। ভারতীয় শীর্ষস্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে বলা হয়, বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জালাল ইউনুস। টিম ডিরেক্টর রয়েছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। তারা প্রত্যেকে প্রভাবশালী। তবে একাধিক সংবাদমাধ্যমের খবর, তামিমকে ফোন করেছিলেন পাপন। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে জানতে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে মুখ খোলেননি তিনি।
ভিডিও বার্তায় তামিম বলেন, কয়েক দিন আগে বোর্ডের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা আমাকে ফোন করেন। আমাদের ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত তিনি। উনি বলেন, তুমি বিশ্বকাপে যাবে। তবে তোমাকে ম্যানেজ করে খেলতে হবে। তুমি আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটা খেলো না।
জবাবে ড্যাশিং ওপেনার বলেন, এখনও ১২ থেকে ১৩ দিন বাকি। এর মধ্যে শারীরিকভাবে ভালো অবস্থায় পৌঁছে যাবো আমি। ফলে এখনই কেন বলছেন, প্রথম ম্যাচে খেলো না? উনি তখন বলেন, আচ্ছা তুমি যদি খেলো, তাহলে তোমাকে নিয়ে আমাদের একটা পরিকল্পনা রয়েছে। সেটা হলো লোয়ারঅর্ডারে ব্যাট করতে হবে।
তামিম যোগ করেন, এখন ভেবে দেখুন, তখন আমি কোন মানসিকতার মধ্যে ছিলাম। চোট থেকে সেরে উঠে দীর্ঘদিন পর মাঠে ফিরেছি। ফিরেই ভালো ইনিংস খেলেছি। এ নিয়ে আমি খুশি ছিলাম। হঠাৎ এই ধরনের প্রস্তাব আমার পক্ষে মেনে নেয়া সম্ভব নয়। আমি ১৭ বছর ধরে এক পজিশনে (ওপেনিং) ব্যাটিং করেছি। ক্যারিয়ারে কখনও তিন/চারে ব্যাট করিনি।
তিনি বলেন, আমি যদি তিন, চার বা পাঁচে ব্যাটিং করতাম, তাহলে বিষয়টা মেনে নেয়া যেতো। কিন্তু আমার সেসব পজিশনে ব্যাটিংয়ের অভিজ্ঞতা নেই। তাই কথাটা ভালোভাবে নিতে পারিনি। উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল, আমাকে জোর করে বিভিন্নভাবে বাধা দেয়া হচ্ছে।
৩৪ বছর বয়সী ক্রিকেটার বলেন, তখন আমি বলেছিলাম, আপনাদের যদি এমন চিন্তাভাবনা থাকে, তাহলে আমাকে পাঠায়েন না। আমি এই নোংরামির মধ্যে থাকতে চাই না। প্রতিনিয়ত আমাকে একেকটা সমস্যার মধ্যে ফেলবেন, এগুলোর মধ্যে আমি থাকতে চাই না।