বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সাধারণ বীমা কর্পোরেশন শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ) সভাপতি রফিকুল ইসলাম দিপু’র অনিয়ম দুর্নীতি দেখার কেউ নাই। অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে রফিকুল ইসলাম দিপু’র মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি জাতীয় দৈনিক বর্তমান কথা পত্রিকার সাংবাদিককে জানান আমার বিরুদ্ধে পাহাড় সমান অনিয়ম দুর্নীতি থাকলেও আমার বিরুদ্ধে লেখার কেউ নাই।আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি তাছাড়াও আমার রয়েছে ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া ও প্রিন্ট মিডিয়ার অগনীত বন্ধু বান্ধব তার মধ্যে অন্যতম সময় টেলিভিশন ও ডিবিসি নিউজের এক ঝাঁক বন্ধুবান্ধব তাই আমার বিরুদ্ধে লেখার সাহস কেউ রাখে না সাহস থাকলে আমার সামনে আসেন।অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমার অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে লিখলে ওই পত্রিকার ডিক্লারেশন বন্ধ করে দেবো তথ্য মন্ত্রীর এপিএস এর সাথে কথা বলেছি পত্রিকাটি বন্ধ করার জন্য ওই প্রশ্নের উত্তরে প্রতিবেদক তাকে জানান বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের কোন তথ্য মন্ত্রী নেই আছে তথ্য প্রতিমন্ত্রী।পরবর্তীতে তিনি প্রতিবেদকে ভয়-ভীতি দেখানোর জন্য আরও বলেন আমি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাতীয় শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম সরোয়ারের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন রফিকুল ইসলাম দিপু নামে কাউকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাতীয় শ্রমিক লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের পদ দেওয়া হয় নাই সম্পূর্ণ ভুয়া আপনি সংবাদ প্রকাশিত করতে পারেন।পরবর্তীতে আবারো রফিকুল ইসলাম দিপুকে কমিটির বিষয়ে অবগত করা হলে তিনি বলেন জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নুর কুতুব মান্নান ভাইকে জিজ্ঞাসা করেন,এই প্রতিবেদক তাকে স্মরণ করিয়ে দেন যে জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির বর্তমান কোনো সভাপতি নেই ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন নূর কুতুব মান্নান এই কথা শুনার সাথে সাথে তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞেস করেন শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞেস করেন,,,
পরবর্তীতে জাতীয় শ্রমিক কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুর কুতুব মান্নান এর মুঠো ফোনে রফিকুল ইসলাম দীপুর বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর পর প্রথমেই তিনি বলেন এই নামে কাউকে তিনি চিনেন না এমনকি রফিকুল ইসলাম দিপু ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাতীয় শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কিনা তাও তিনি বলতে পারছেন না।অন্য এক প্রশ্নের জবাবে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বলেন রফিকুল ইসলাম দীপু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আমাদের প্রিয় নেত্রীকে নিয়ে এমন বক্তব্যে ক্ষমার অযোগ্য এবং তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।অনুসন্ধানে জানা যায় এবং তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায় রফিকুল ইসলাম দিপুর অনিয়ম দুর্নীতি নজিরবিহীন তার মধ্যে কিছু অনিয়ম দুর্নীতির আংশিক প্রকাশ করা হলো।গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন সিবিএ সভাপতি রফিকুল ইসলাম দীপু গড়েছেন অঢেল সম্পদ।সাধারণ বীমা কর্পোরেশন ২০২১ সালের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ও এমএলএসএস (১৬ ও ২০তম গ্রেড)নিয়োগ-বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন।উল্লেখ মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে গত ২৪-১২-২০২১ সালে সাধারণ বীমা কর্পোরেশন নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে পরীক্ষার্থীদের কাছে একজন ছাত্র প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র সহ হাতেনাতে ধরা পড়ে তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থিত সব পরীক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানান রফিকুল ইসলাম দিপুর কাছ থেকে তিনি আগেই প্রশ্ন পেয়েছেন এবং তার মত আরো অনেক পরীক্ষার্থীরাই আগে থেকে প্রশ্ন পেয়েছে।প্রশ্নপত্র ফাঁসের ওই ঘটনা তৎকালীন সময়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়।
নিজের পছন্দের প্রার্থীদের কাছে প্রশ্ন পত্র ফাঁস করে হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা।আশ্চর্যের বিষয় প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের মূল হোতা রফিকুল ইসলাম দীপু সহ পূর্ণচক্রটি রয়ে যায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে।এছাড়াও তিনি চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে বিভিন্ন মানুষ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা বিপুল মিথ্যে প্রলোভনে প্রলদ্ধ হয়ে অনেকেই আজ বিটেমাটি ছাড়া।ভুক্তভোগীরা পাওনা টাকা ফেরত চাইতে দিপুর কাছে আসলে তিনি দেই দিচ্ছি করে এমনকি পাওনাদারদের বিভিন্নভাবে নাজেহাল করেন।তেমনি মাফুজা নামের এক ভুক্তভোগী নারী থেকে রফিকুল ইসলাম দীপু ১৬ লক্ষ টাকা দিয়েছেন চাকুরীর দেওয়ার কথা বলে পরবর্তীতে ভুক্তভোগী মাহফুজা মতিঝিল থানা লিখিত অভিযোগ করলে থানা পুলিশের মধ্যস্থতায় ভুক্তভোগীকে পাঁচ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করে হয় কিন্তু বাকি ১১ লক্ষ টাকা আজও ভুক্তভোগী নারী পান নাই বলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান।সাধারণ বীমা কর্পোরেশনে চাকুরীরত বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা কর্মচারীর সাথে রফিকুল ইসলাম দিপু’র অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করা শর্তে তারা বলেন রফিকুল ইসলাম দিপু ২০০৬ সালে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে জোট সরকারের মন্ত্রী আলতাফ হোসেনের চৌধুরীর এপিএস ইছা ফরাজির লিখিত সুপারিশে গাড়ি চালক পদে চাকরি পান কিন্তু দুঃখের বিষয় ২০০৮ সালে মহাজোট সরকার গঠন করার পর রাতারাতি বোল পাল্টিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করে পেশি শক্তির প্রভাব খাটিয়ে সিবিএ সভাপতির পদ বাগিয়ে নেন।সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস সহ এমন কোন অপকর্ম দুর্নীতি নেই যাহা তিনি করেন নাই।সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটাই দাবি ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে প্রতিষ্ঠিত সাধারণ বীমা কর্পোরেশন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এই প্রতিষ্ঠানের সিবিএ সভাপতি গাড়ি চালক রফিকুল ইসলাম দিপুর সকল অনিয়ম অপকর্ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবি জানাই।
অনুসন্ধান চলমান,,,,