• মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
মাদক সেবনকালে জনতার হাতে গাঁজা-ইয়াবাসহ আটক, পুলিশ যাওয়ার আগেই ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ তথ্য সংগ্রহকালে সাংবাদিককে হুমকি ॥ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রাজউক কর্মকর্তার সিন্ডিকেট দুদকের জালে প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান এইচবিএম ইকবাল প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে গেছেন শেখ হাসিনা: ড. ইউনূস ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে গুইমারা বাজারে সরকারি ড্রেন দখল করে প্লট নির্মান, নিরব প্রশাসন দাম কমালো জ্বালানি তেলের কোম্পানীগঞ্জে বন্যার পানির তীব্র চাপে ভেঙে গেলো মুছাপুর স্লুইসগেট মোংলায় মন্দির পাহারা ও সর্বসাধারণের নিরাপত্তায় কোস্ট গার্ড তাড়াশে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন রামগড়ে ইউ.পি সদস্যের উপর সন্ত্রাসী হামলা, বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

ফ্রান্সের দূতকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নাইজার ছাড়ার নির্দেশ দিলো জান্তা

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : শনিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৩

সারাবিশ্ব ডেস্ক

 

পূর্ব আফ্রিকার দেশ নাইজারে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সামরিক জান্তা। অভ্যুত্থানকারী জান্তার এ নির্দেশের মাধ্যমে দেশটির চলমান সমস্যা আরও ঘনীভূত হয়েছে।

এছাড়া যদি বহিঃদেশের সেনারা নাইজারে আক্রমণ করে তাহলে তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য মালি ও বুরকিনা ফাসোর সেনাদের নাইজারে প্রবেশের অনুমোদনও দিয়েছে তারা।

শনিবার (২৬ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

গত ২৬ জুলাই প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোমকে প্রেসিডেন্ট প্যালেসে অবরুদ্ধ করে রক্তপাতহীন অভ্যুত্থান ঘটায় প্রেসিডেন্ট গার্ডের সদস্যরা। পূর্ব আফ্রিকার অর্থনৈতিক জোট ইকোওয়াস হুমকি দিয়েছে— যদি বাজোয়ামের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে না দেওয়া হয় তাহলে তারা সামরিক অভিযান চালাবে।

ফ্রান্সের দূত সালভিন ইত্তেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নাইজার ছাড়ার নির্দেশ দিয়ে শুক্রবার (২৫ আগস্ট) একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। এতে অভিযোগ করা হয়েছে, তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বৈঠকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানে হয়েছিল। কিন্তু তিনি এতে যোগ দেননি। ফলে তাকে নাইজার থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘ফ্রান্সের সরকারের কার্যক্রম নাইজারের স্বার্থবিরোধী।’

তবে ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ নির্দেশনা মানবে না বলে ইঙ্গিত দিয়েছে। তারা বলেছে, ‘ফরাসি দূতকে নাইজার ছাড়ার নির্দেশ দেওয়ার কোনো অধিকার অভ্যুত্থানকারীদের নেই।’

তারা আরও বলেছে, এ ধরনের সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র নাইজারের নির্বাচিত সরকার দিতে পারে।

একটা সময় ফ্রান্সের ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনে ছিল নাইজার। দেশটি ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করলেও তাদের একটি প্রভাব রয়ে যায়। এমনকি গত মাসের অভ্যুত্থানের আগে নাইজার ফ্রান্সের মিত্রই ছিল। দেশটিতে এখনো প্রায় দেড় হাজার ফরাাসি সেনা অবস্থান করছেন।

নাইজারের জান্তা প্রধান জেনারেল আব্দররহমান চিয়ানি শুক্রবার দুটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। এতে তিনি নাইজারে কোনো ধরনের সামরিক আগ্রাসনের মুখে মালি ও বুরকিনা ফাসোকে এগিয়ে আসার অনুমোদন দিয়েছেন।

ইকোওয়াস যখন নাইজারে সামরিক অভিযানের হুমকি দেয় তখনই মালি ও বুরকিনা ফাসো পাল্টা হুমকি দিয়েছিল, এ অভিযান তাদের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ ঘোষণার সামিল হবে। বর্তমানে এ দুটি দেশও পরিচালিত হচ্ছে সামরিক জান্তার দ্বারা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ