• শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৬ অপরাহ্ন

জিয়া ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের ছদ্মবেশধারী পাকিস্তানি এজেন্ট : হানিফ

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : বুধবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের ছদ্মবেশধারী পাকিস্তানি এজেন্ট। তিনি যে পাকিস্তানের এজেন্ট ছিলেন, তা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়েই তার কর্মকাণ্ডে প্রকাশ পেয়েছে।

বুধবার (২৩ আগস্ট) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ : স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধু কন্যার অঙ্গীকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, খুনি জিয়া ক্ষমতা গ্রহণের পর রাজাকারদের স্থান দিয়েছিলেন মন্ত্রিসভায়। শুধু তাই নয়, বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার আইন বন্ধ করার অপচেষ্টাও করেছিলেন তিনি। এতে কি প্রমাণ হয় না জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন? আজ অনেকেই তাকে খুনি বলে আখ্যায়িত করতে দ্বিধাবোধ করেন। কিন্তু ইতিহাস তো পরিষ্কার যে, তিনিই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত খুনি।

তিনি বলেন, একজন শিক্ষক যে কতটা মিথ্যাবাদী হতে পারেন, তা মির্জা ফখরুলকে না দেখলে বুঝতাম না। ফখরুল শিক্ষক মানুষ কিন্তু তার ২১ আগস্ট নিয়ে চরম মিথ্যাচার মূর্খতা ছাড়া আর কিছুই নয়। শিক্ষকতা একটি মহৎ পেশা কিন্তু তার মিথ্যাচারে কোনো লাভ হবে না। কারণ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার চার্জশিটে তাদের নেতাদেরই নাম আসছে। সে চার্জশিট তো আওয়ামী সরকার দেয়নি। তাদের নেতাদের জবানবন্দির আলোকেই চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক কামাল উদ্দীন আহমেদ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ২৫ মার্চের বক্তব্যের প্রসঙ্গে সমালোচনা করে বলেন, এ নেতৃত্ব যদি বাংলাদেশে আসে, তাহলে দেশের যে কি অবস্থা হবে তা আমরা বুঝতেই পারছি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ‘নীল দল’ একত্রিত হয়ে কাজ করলে কোনো বিরোধী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। যদি কোনোভাবে বিরোধী শক্তি ‘সাদা দল’ বিশ্ববিদ্যালয়ে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, তাহলে আমাদের টিকে থাকতে হুমকিস্বরূপ হয়ে দাঁড়াবে।

অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, আমাদের দেশকে নিয়ে পিছিয়ে নিতে ষড়যন্ত্র চলছেই। পাকিস্তানের পক্ষে যারা ছিলেন, তারা এখনো রাজনীতির বিভিন্ন অঙ্গনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন। আগামী নির্বাচনকে নিয়ে তারা নানান ষড়যন্ত্রের জাল বুনছেন। এ ষড়যন্ত্রের মাত্রা সামনের দিনগুলোতে আরও বেড়ে যাবে, সেজন্য আমাদের সচেতন থাকতে হবে।

অনুষ্ঠানে ‘নীলদল’-এর সভাপতি অধ্যাপক ড. নূরে আলম আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে ছিলেন ‘নীলদল’-এর সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড জাকারিয়া মিয়া ও অধ্যাপক ড. আশরাফ উল আলম। এছাড়াও প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেফ্তাহুল হাসান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ