নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকার মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করেছে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হরণ করেছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে তারা ব্যবহার করছে।
শনিবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৭১ সালে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য যুদ্ধ করেছিলাম, সেই স্বপ্ন এই লুটেরা, ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের একদলীয় শাসন ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করতে গণতান্ত্রিক সব অধিকারগুলো হরণ করে নিয়েছে। মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে, সংবাদপত্রে স্বাধীনতা হরণ করেছে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হরণ করেছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে তারা ব্যবহার করছে।
তিনি বলেন, আজকে এই অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করার লক্ষ্যে সব জনগণ এবং সব রাজনৈতিক দল এক দফা দাবিতে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন এবং নতুন সংসদ গঠনের শপথ নিয়েছে। সেই লক্ষ্যে রাজপথের আন্দোলন বেগবান করছে।
সরকার অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশে অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের সব সম্ভাবনাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন বাংলাদেশের মানুষকে জিম্মি করে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়। কিন্তু আজকে জনগণ এক হয়েছে, সব রাজনৈতিক দল এক হয়েছে তাদের ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য, গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার জন্য। তারা যে লড়াই শুরু করেছে নিশ্চয়ই জয়ী হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকের আওয়ামী অবৈধ সরকার যারা একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তারা মিথ্যা মামলা দিয়ে দীর্ঘ ছয় বছর ধরে দেশনেত্রীকে কারারুদ্ধ করে রেখেছে। এখন হাসপাতালে তিনি জীবন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। আমরা আশা করি দেশনেত্রী খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন এবং বিদেশে গিয়ে উন্নত চিকিৎসা নিয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান প্রমুখ।