• মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৯ পূর্বাহ্ন

ট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মেয়াদ বাড়ছে

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ৮ আগস্ট, ২০২৩

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম ও‌ কক্সবাজারের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃষ্টির পানি এবং পাহাড়ি ঢলে এ দুই জেলার অধিকাংশ রাস্তাঘাট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তলিয়ে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে মঙ্গলবার চট্টগ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও নতুন করে কক্সবাজারের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কেবল মঙ্গলবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কথা থাকলেও পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় সেটির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (কলেজ ও প্রশাসন) পরিচালক প্রফেসর শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার ভারী বৃষ্টিপাতের সার্বিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। এর সঙ্গে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে এ দুই জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাময়িক ছুটি বাড়ানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে এ ছুটি বাড়ানো হবে।

এর আগে সোমবার (৭ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক বার্তায় মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) থেকে চট্টগ্রামের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়।

বার্তায় বলা হয়, অতিবৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগরীর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। মহানগরীর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন সরকারি-বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

এদিকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ক্লাস-পরীক্ষাও আগামী তিন দিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, টানা বৃষ্টিতে ক্যাম্পাস এবং চট্টগ্রাম শহরে জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও আসতে অসুবিধা হচ্ছে। এজন্য উপাচার্য জরুরি মিটিংয়ে আগামী ৩ দিন (৮ আগস্ট থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত) বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে এ তিনদিন অফিস খোলা থাকবে।

উল্লেখ্য, টানা কয়েকদিন ধরে চট্টগ্রামে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। রোববার সেখানে রেকর্ড ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। এতে নগরের বিভিন্ন নিচু এলাকা তলিয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া একাধিক স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনাও ঘটেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ