• সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:২৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
“কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি” — মতিঝিল দিলকুশায় মনি মুক্তা রিয়াদ সাইদুল গংদের প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা (পর্ব-২) আরিয়ান’র মনমুগ্ধ অভিনয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন দর্শকরা প্রতিমন্ত্রী ফরহাদের আয় বেড়েছে, স্ত্রীর বেড়েছে সম্পদ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই ১মাসে তিনবার গ্রেফতার চা বিক্রেতা আনারুল!   “কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ” এখনো বহাল তবিয়াতে মতিঝিল অফিস পাড়ায় অবৈধ স্টাফ বাস স্ট্যান্ড (পর্ব-৪) “কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি” মতিঝিল দিলকুশায় মনি মুক্তা রিয়াদ সাইদুল গংদের প্রকাশ্য মাদক ব্যবসা হালিশহর থানার অভিযানে বিপুল পরিমান চোলাই মদ উদ্ধার আটক স্বামী-স্ত্রী খাগড়াছড়িতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল, তৃণমূল বিএনপি ও কংগ্রেসের স্থগিত শান্তি চুক্তির ২৬তম বর্ষপূর্তিতে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির র‍্যালি উপহার সামগ্রী শীতবস্ত্র বিতরণ “অর্থ মন্ত্রণালয় ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি” টাকা আর লবিং থাকলে আইন থাকে ভ্যানিটি ব্যাগে ডিজিএম সৈয়দ সালমা উসমান

অধ্যাপক তাহের হত্যা: রাতেই কার্যকর হচ্ছে দুই আসামির ফাঁসি

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৩

ফারুক হোসেন, রাজশাহী ব্যুরো: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত দুই আসামির ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এক কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জানা যায় রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের অভিন্ন ফাঁসির মঞ্চে বৃহস্পতিবার (২৭ শে জুলাই) রাত ১০ টা থেকে ১২ টার মধ্যে দুই আসামি মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীরের ফাঁসি কার্যকর করা হবে । এজন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৩ থেকে ৪ জন জল্লাদকে। তারা সবাই যাবজ্জীবন সাজা খাটছেন। দুপুরে ফাঁসির মহড়াও সম্পন্ন হয়েছে। সাধারণত একজন প্রধান জল্লাদ ফাঁসি কার্যকর করে থাকে। তবে প্রধান জল্লাদ কোনো কারণে অসুস্থ বোধ করলে বা যে কোনো সমস্যা এড়ানোর জন্য কয়েকজন সহকারী জল্লাদকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

তিনি আরো জানান ফাঁসি কার্যকরের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আদালত কে জানানো হয়েছে।

ফাসির আদেশ কার্যকর করার সময় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জেন্ট, জেল সুপার, জেলার, কারাগারের ডাক্তার গণপূর্ত বিভাগের উর্ধবতন কর্মকর্তা বা প্রধান বা তাদের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।

প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে অধ্যাপক তাহেরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় ৩ ফেব্রুয়ারি তার ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ বাদী হয়ে নগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয় পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত চারজনকে ফাঁসির আদেশ ও দুজনকে খালাস দেন।পরে আসামিদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে তাহেরের একসময়ের ছাত্র ও পরে বিভাগীয় সহকর্মী মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এবং তাহেরের বাসভবনের তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীরের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। অপর দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই দুজন হলেন জাহাঙ্গীরের ভাই শিবিরকর্মী আবদুস সালাম ও সালামের আত্মীয় নাজমুল।

রিভিউ খারিজের আদেশ কারাগারে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান আসামিরা। সেই প্রাণভিক্ষার আবেদনও নাকচ হয়ে যায়। নাকচের সেই চিঠি গত ৬ জুলাই রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছে। জেল কোড অনুযায়ী চিঠি হাতে পাওয়ার ২১ থেকে ২৮ দিনের মধ্যে ফাঁসি কার্যকরের নিয়ম রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ