বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ময়লার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। দীর্ঘদিন বর্জ্য অপসারণে পৌর কর্তৃপক্ষের অকার্যকর ব্যবস্থাপণায় যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলতে বাধ্য হচ্ছে পৌরবাসী। ফলে যত্রতত্র ফেলে রাখা আবর্জনার দুর্গন্ধে দূষিত হয়ে পড়ছে পরিবেশ। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে চায় লোহাগড়া পৌরবাসী। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সকালে নড়াইল লোহাগড়া উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এসব কথা বলেন লোহাগড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও এশিয়ান টেলিভিশনের সাংবাদিক কাজী আশরাফ। সভায় উপস্থিত পৌর মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষন করে কাজী আশরাফ আরও বলেন, কয়েকদিন পরেই ঈদুল আযহা। আশা করছি ঈদের দিনই দ্রুত সময়ের মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের বিষয়ে আরও বেশি আন্তরিক হবেন পৌর মেয়র।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আজগর আলীর সভাপতিত্বে লোহাগড়া পৌর মেয়র সৈয়দ মসিয়ূর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, পৌরবাসীদের মানসম্মত সেবা প্রদানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমাদের নিজস্ব ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় বর্জ্য অপসারণে সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে। আশা করছি দ্রুতই এ সমস্যার সমাধন হবে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শিকদার আব্দুল হান্নান রুনু বলেন, ঈদকে সামনে রেখে এক শ্রেনীর অসাধু চক্র জালটাকার নোট হাটে-বাজারে ছড়িয়ে দিতে পারে। তাই কোরবানীর পশুর হাট গুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতার নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে পুলিশের টহল জোরদারের প্রস্তাব রাখেন তিনি।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নাসির উদ্দিন বলেন, উপজেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের থেকে বর্তমানে ভালো। এ ধারা অব্যহত রাখতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। বিশেষ করে ঈদকে কেন্দ্র করে কেউ যাতে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে না পারে সে বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছি।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জয়পুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সুমন, নোয়াগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান জোসেফ মুন্সীসহ অনেকেই। আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনের রেখে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সাভাবিক রাখতে নানামুখি দিক নিয়ে আলোচনা করেন বক্তারা। সভায় বিভিন্ন দপ্তরের দপ্তর প্রধান, সাংবাদিক, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।