সোমবার আলীকদম সাপ্তাহিক হাঠ থেকে ব্যসায়ীরা গরু কিনে নিচ্ছেন। গরুগুলো দেখতে দেশীয় গরুর ন্যয়। কিছু গাই বাচুর রয়েছে যা স্থানীয় কৃষকের পালিত। বেপারিদের ভাষ্যমতে তারা আলীকদম হাঠ থেকে এসব গরু কিনে বিভিন্ন কোরবানীর হাঠে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়। পথে আলীকদম শীবাতলী স্বাগতম গেইটে ৫০ গজের মধ্যে আলীকদম অংশে পুলিশকে গরু প্রতি ৩/৫ শ্ টাকা ও লামা অংশে (সুন্দরবর্ণের ছিকন শরীরের) একজনের নেতৃত্বে ২/৩ জন সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে প্রতি গাড়ি থেকে ৫/ ৮ শ্ টাকা করে নেয়। টাকা দিতে না চায়লে ব্যবসায়ীদেরকে ধমক দিয়ে অবৈধ গরু আখ্যা দেয়। এর পর লাইন ঝিরিতে নামে বেনামে করে প্রতিটি ৫ শ্ টাকা করে, পৌরসভার গেইটে টোল ট্যাক্সের নামে ২/৩ শ্ টাকা করে প্রতিটি গরুর জন্য দিতে হয়। এর পর মিরিঞ্জা পর্যটন এলাকায় সাংবাদিক পরিচয়ে আরো একবার প্রতিটি গরুর গাড়ি থেকে ৩/৫ শ্ করে টাকা নেয়। এক ব্যবসায়ী জানান, আমরা এই ব্যবসা দীর্ঘদিন ধরে করে আসছি; সড়কে এমন রাহাজানি আর দেখি নাই। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে যেন লুটের যার যেভাবে ইচ্ছে সেভাবে হচ্ছে। বিগত প্রায় চার মাস ধরে মায়ানমার থেকে সীমান্ত ফাঁকি দিয়ে বড় জাতের গরু লামা-আলীকদম ফাঁসিয়াখালী সড়কে আসা বন্ধ রয়েছে। জানাগেছে, চোরাকারবারিরা সড়কের ঝামেলা এড়াতে এখন পাহাড় জঙ্গলের পথে লামা ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের সুজা রোড ব্যবহার করে আনা হচ্ছে। এসব গরুর সাথে সোনা, নেশা দ্রব্য ও বিদেশি সিগারেট আসছে। লামা-আলীকদম সড়ক পথে প্রশাসনের কড়া নজরদারীর মধ্যে দিন রাত্রি গরু গেলেও অন্যান্য অবৈধ পণ্য পাচার নিয়ন্ত্রণে ছিল। জঙ্গল পথে এখন আর সেই নিয়ন্ত্রণ নেই। লামা উপজেলা মাসিক আইন শৃঙ্খলা সভায় কোরবানী পশুর বাজার স্বাভাবিক রাখতে, স্থানীয় কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় বিদেশি গরু, বিশেষ করে চোরাই পথে আসা মীয়ানমারের গরু বন্ধ রাখার জন্য তাগিদ দেয়া হয়। কৃষকের গোয়ালের গরু চুরি রোধসহ পথে ঘাটে গরু পরিবহনে হয়রানি বন্ধের প্রস্তাব রাখা হয় মাসিক আইন শৃঙ্খলা সভায়। কিন্তু বাস্তব চিত্র তার ব্যতিক্রম। আলীকদম থেকে কিনে নিয়ে আসা গুরু বেপারিরা জানায়, ঘাটে দাবি মেটাতে হয় তাদের। একেকটি গরু আলীকদম থেকে চকরিয়া পৌঁছতে অতিরিক্ত দশ হাজার টাকা খরচ হয়। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নজরে আনার দাবি করেছেন গরু ক্রেতা-বিক্রেতারা। এ বিষয়ে লামা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, “আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আসলে ব্যবস্থা নিব। এখন পর্যন্ত লিখিত কোনো অভিযোগ আসেনি”। ওসি আরো জানায়, “কোরবানীর পশুর হাঠে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে। লামা-আলীকদম ফাঁসিয়াখালী সড়ক নিরাপদ রাখার জন্য পুলিশের টিম নিয়োজিত রয়েছে”।