খাগড়াছড়ির গুইমারায় ছোট ভাইয়ের জমি জবর দখল করতে ,আপন ভাইকে হত্যার উদ্দ্যেশে মেরে মাথা ফাটানো সহ বিভিন্ন অভিযোগে শহিদুল ইসলামকে আটক করেছে গুইমারা থানার পুলিশ। আটক শহিদুল ইসলাম গুইমারা উপজেলার মুসলিম পাড়া এলাকার মৃত মন্তাজ উদ্দিনের বড় ছেলে।
বুধবার(১৪জুন) সন্ধ্যায় বাদী বাবলু মিয়ার মেডিকেল রিপোর্ট ও সুর্নিদিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে।পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানাযায়,গত ২২ মার্চ দুপুরে আটক শহিদুল ও তার আরেক ভাই বাবলু মিয়ার বাড়িতে গিয়ে তাকে মেরে মাথা ফাটানো সহ তার গলা চিপে তাকে হত্যা করতে চেষ্ঠা করেছে।তার স্ত্রী ও প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে তাকে মাটিরাঙ্গা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করে সুস্থ করেছে।এসময় তার মাথায় বেশ কয়েকটা সেলাই দিতে হয়েছে ।
এবিষয়ে বাবুল মিয়া জানান,তার পিতার নামে রেকর্ডভুক্ত পাচঁ একর ভূমি রয়েছে।যা শহিদুল ইসলাম মুসলিমপাড়া এলাকার নামধারী একটা সমিতির লোকজন নিয়ে জবর দখল করে ভোগ করছে।এছাড়াও বাদীর বসত ভ’মির একটা অংশ সে অন্যত্র বিক্রি করে দিয়েছে।তার লোকজন না থাকায় সে কোন প্রতিবাদ করলে সবসময় তাকে আক্রমন সহ মেরে ফেলার হুমকি দমকি দেয় শহিদুল।শহিদুলের অর্থ আর সমিতির লোকজনের হুমকিতে সবসময় ভয় আর সংকটে জিবন যাপন করতে হয় তার পরিবারকে।এছাড়াও শহিদুলের নামে জমি আছে পাচঁ একর, সে গোপনে ১৬.৫ একর জমি বিক্রি করে দিয়েছে। এবিষয়ে বিভিন্ন স্থানে সামাজিক বেঠক হয়েছে ।সে সামাজিক বা মেম্বার চেয়ারম্যান কাওকে গন্য করেনা।আমাকে মেরেছে ,আমার পরিবারকে অপমান করেছে।আমি আইনের নিকট আমার নিরাপত্তা ও বিচার চাই।
এ বিষয়ে গুইমারা থানার ওসি রাজিব কর জানান,শহিদুল তার ভাইকে জমি নিয়ে মেরে মাথা ফাটানোর বিষয়ে একটা মামলা হয়েছে।পুলিশ শহিদুলকে আটক করে খাগড়াছড়ি আদালতে প্রেরন করেছে।আটক শহিদুলের নামে ওই এলাকার হারুনকে ও মারধর করার অপরাধে হারুন বাদী হয়ে একটা ডায়েরি করেছে।