বান্দরবানের লামা উপজেলার আজিজনগর ইউনিয়নের বাচুরিপাড়া থেকে ডিগ্রিখোলা পর্যন্ত আট কিলোমিটার এইচবিবি সড়ক নির্মানোত্তর সংস্কার চলছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ছোট বড় পাহাড় ভেদ করে এই ৮ কিলোমিটার সড়ক নির্মান কাজ ২০১৬ সালে শরু করে শেষ হয়েছিল বিগত ২০২১ অর্থ বছরে। চলতি অর্থ বছরে সড়কটি টেকসই করার লক্ষে কয়েকটি স্থানে ড্রেইন, ক্রসড্রেইন, টু ওয়াল, আরসিসি রিটের্ণিং ওয়াল নির্মান ও পাহাড়ের মোড়ে সম্প্রসারণ কাজ চলছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড অত্রাঞ্চলে উন্নয়নের ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে। বাচুরিপাড়া বাসিন্দা হ্লামং জানান, একদা উৎপাদিত কৃষিপণ্য কাঁধে পিঠে করে নিয়ে পাহাড়, জঙ্গল ছড়া ঝিরি অতিক্রম করে ডিগ্রিখোলা বাজারে বাজারে বিক্রি করে স্বল্প মূল্য পেতাম। বাচুরিপাড়া থেকে ডিগ্রিখোলা পর্যন্ত এই ইটের রাস্তাটি নির্মানের ফলে আমাদের জুম ফসল বাজারজাতে এখন সময় যেমন সাশ্রয় হয়, একইভাবে মূল্যও বেশি পাচ্ছি”। পাড়ার আরো কজন জানান, এই রাস্তা দিয়া বর্ষকালে হাটাচলা করা কষ্ট হতো। কারণ কয়েকটি স্থানে পানির তোড়ে রাস্তা ভেঙ্গে গেয়েছিল। এবছর রাস্তার ভাঙ্গা অংশে সংস্কার ও ড্রেইন নির্মাণ কাজ চলছে। ফলে রাস্তটি টেকসই বেশি মজবুত ও টেঁকসই হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানাযায়, রাস্তাটি সংস্কার কাজে বালুর পরিবর্তে পাহাড়ের মাটি ব্যবহার হচ্ছে; এমন তথ্য পেয়ে, গত ১০জুন শনিবার এই প্রতিনিধি সেরজমিন রাস্তাটি দেখতে যাই। সেখানে স্থানীয়দের সাথে কথা বলার পর, আমাদের কথা হয় নির্মান শ্রমিক আ: মতিনের সাথে। সে জানায়, “কে বা কারা গুজব ছড়িয়েছে যে, সংস্কার কাজে বালুর পরিবর্তে পাহাড়ের মাটি ব্যবহার হচ্ছে। বস্তত এখানে মাটি খুঁজলেও পাওয়া যাবেনা। কারন এখানকার পাহাড়, ঝিরি ঝর্না বালুতে ভরপুর। এর পরও আমরা ডিগ্রিখোলা থেকে প্রতি গাড়ি ১৮ শ্ টাকা করে বালু কিনে এনে ড্রেইন নির্মান ও সলিংয়ের কাজে ব্যবহার করতেছি”। সে আরো জানায়, “এখানে পানির সংকট রয়েছে তবে বালুর কোনো অভাব নেই”। সরেজমিন বাস্তবতা হচ্ছে সেখানে সত্যেকার অর্থে মাটি বলতে সবই বালু। রাস্তায় একজন সিএনজি চালক জানান, “আমি এই রাস্তায় যাত্রী বহন করি। এখানে সবই বালু, তার পরও প্রায়ই সময় একটি গাড়ি দিয়ে ডিগ্রিখোলা থেকে পানি ও বালু আনতে দেখা যায়”। এ ব্যপারে সংস্কার ঠিকাদার প্রশান্ত ভট্টাচার্য জানান, আমি প্রতিটি কাজের শতভাগ মান নিশ্চিত করার চেষ্টা করি। কাজের মান ঠিক রাখার জন্য সাইটের মেস্তরিদের নির্দেশনা দেয়া আছে। তার পরও প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে কতিপয় ব্যক্তি মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে”। ঠিকাদার আরো বলেন, ” সরকারের এ সব উন্নয়নে জেলাস প্রবন স্থানীয় কিছু উন্নয়ন বিমুখ ষড়যন্ত্রকারীরা উন্নয়ন কাজ সহ্য করতে পারছেনা। এ সব ব্যক্তিরা মহল বিশেষের ক্রীড়ানক হয়ে কাজ করছে। তারা অহেতুক মিথ্যা প্রপাগন্ডা ছড়াচ্ছে ও ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যম মিথ্যা অসত্য তথ্য দিয়ে প্রচার চালাচ্ছে”।