“আমি নৌকার রাজনীতি করি” কাজী মজিব —– পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি ও স্থায়ী কমিটি সাধারণ সভা-২৩ চট্টগ্রামস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। “সর্বক্ষেত্রে পার্বত্য এলাকার সকল নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে” এই প্রতিপাদ্যের উপর সভার শুরুতে স্বাগতিক বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মজিবর রহমান। সাম্প্রতিক পার্বত্য প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিঁনি বলেন, সন্ত্রাসীদের উৎপাতে অতিষ্ট সবাই। ইতি মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েকজন সদস্য শহীদ হয়েছেন। পাহাড়ে বসবাসরত সব উপজাতি সন্ত্রাস নয়। মুষ্টিমেয় কিছু উপজাতি সন্ত্রাসীদের কাছে পাহাড়ি বাঙ্গালী সবাই এভাবে জিম্মি থাকতে পারে না। পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ পাহাড়ে সব মানুষের সম অধিকার ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করার সংগ্রাম করে চলছে। সাংগঠনিক শৃঙ্খলা, ভাতৃত্ববোধ, পরস্পর আস্থা বিশ্বাস ও ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। যে কোনো অধিকার আদায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করতে সততা পরিশ্রম, আনুগত্যতা ও ঐক্যবদ্ধতার বিকল্প নেই। লক্ষে পৌঁছার সংগ্রামে অর্থ, স্বার্থের মাপকাঠিতে বিবেচনা করলে লক্ষচ্যুত হতে হবে। কেন্দ্রীয় মহাসচিব মো: আলমগীর কবির ও প্রবীন সাংবাদিক আতাউর রহমান রানা এর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে তিন জেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পার্বত্য তিনটির মধ্যে যে কোনো একটি আসনে নাগরিক পরিষদের প্রার্থী দেয়ার দাবি তোলেন নেতৃবন্দরা। এ দাবির প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান কাজী মজিবর রহমান তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, “যেহেতু পাহাড়ে সকল দলের সমন্বয়ে নাগরিক পরিষদ গঠিত, সেহেতু ‘দল যার যার নাগরিক পরিষদ সবার’ এই স্লোগানটি ভুলে গেলে চলবেনা। সুতরাং নাগরিক পরিষদ সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবে কিনা, সেটা সময়ে বলে দিবে”। প্রসঙ্গক্রমে তিঁনি বলেন “আমি নৌকার রাজনীতি করি, এর বাহিরে আপাততঃ কোনো সিদ্ধান্ত আমি নিইনাই”। পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ কাউকে ক্ষমতায় রাখতে বা হারাতে কাজ করে না। পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারের সন্ত্রাস বিরোধী কার্যক্রমকে সমর্থন ও মানুষের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে দলমত নির্বিশেষে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ কাজ করছেন।