সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে’র সৌজন্যে চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় বুক সেলফ বিতরণ করা হয়েছে।শুক্রবার, ২৬মে বন্দর নতুন মার্কেটের নিলয় হেয়ার কাটিং ম্যানেজার সাগর শীলের হাতে সুসজ্জিত বুক সেলফ প্রদানের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্মচারী পরিষদ (সিবিএ)এর সাধারণ সম্পাদক, সাবেক ছাত্রনেতা নায়েবুল ইসলাম ফটিক।এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বেচ্ছা রক্তদাতা ফোরামের সংগঠক আশীষ কান্তি মূহুরী।সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে’র প্রতিষ্ঠাতা কবি ও লেখক গোলাম মাওলা জসিম। এ সময় উদ্বোধক নায়েবুল ইসলাম ফটিক বলেন, বর্তমানে বই পড়ায় আমাদের মাঝে অনীহা তৈরি হয়েছে।নতুন করে পাঠক তৈরিতে সেলুনে পাঠাগার স্থাপন নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রমী কনসেপ্ট। আশা করি প্রযুক্তির বদৌলতে যুবসমাজের মাঝে যে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে তা, তার পরিবর্তন করতে বই পড়া হতে পারে একমাত্র সঙ্গী,আর তা পূরণে পাঠাগার গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে। প্রধান অতিথি আশীষ কান্তি মূহুরী বলেন, বই যেমন জীবনের পরিধি বাড়ায়, তেমনি স্বপ্ন দেখতে শেখায়।তাই, এই ইন্টারনেট এবং ই-মেইলের যুগেও বইয়ের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়নি। আগে শহরে পাড়ায় পাড়ায় যেমন পাঠাগার ছিল, এখন আর সেটি চোখে পড়ে না। মানুষ নিজের আগ্রহেই পছন্দের বইটি খুঁজে নেয়। আগে স্কুল-কলেজে পাঠ্যবইয়ের বাইরেও পাঠচক্রের আয়োজন করা হতো। এ ধরনের উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। গোলাম মাওলা জসিম বলেন, ‘বাংলা ভাষা যেখানে আছে, সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে’ সেখানে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছি। বর্তমানে মাঠ নাই, পাঠাগার নাই। তাই, বই পড়ার নিরাপদ স্থান হিসেবে সেলুন বেছে নিয়েছি। এ কার্যক্রমের বিস্তারে আমি সবার সহযোগিতা চাই।’ আবৃত্তি শিল্পী আশিক আরেফিনের পরিচালনায় সেলুন পাঠাগার উদ্বোধন কার্যক্রমে আরো উপস্থিত ছিলেন টিভি অভিনেতা ও সংগঠক মোশাররফ ভুইয়া পলাশ,মোহাম্মদ আলী,শাহীন আলম,প্রমা, সৌরভ পাল প্রমুখ। উল্লেখ্য, অবসরে বই পড়ুন’- এ স্লোগানকে সামনে রেখে ২০১৮ সালের ৩০ জুন গোলাম মাওলা জসিমের ব্যক্তিগত অর্থায়নে তার নিজ এলাকা নোয়াখালীতে রতনের সেলুনে বই ও বুক সেলফ বিতরণের মাধ্যমে এ ব্যতিক্রমী কার্যক্রম শুরু হয়।যার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার সেলুনে স্থাপন করা হচ্ছে বুক সেলফ, আর এতেই সেলুন পরিনত হচ্ছে পাঠাগারে।