নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নে একাধিক মামলার আসামী এলাকার চিহ্নিত চোর শাহাদাত হোসেন (২৭) গণ পিটুনিতে নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে একটি মহল সাধারন মানুষকে হয়রানী করার অভিযোগ উঠেছে। নিহত শাহাদাত হোসেনের মৃতদেহ ১৩ এপ্রিল বৃহস্প্রতিবার জয়াগ ইউনিয়নের মাহুতলা গ্রামের তিন রাস্তার মোড় থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শাহাদাত জয়াগ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের জমাদার বাড়ির আবুল কাশেমের ছেলে। তার বিরুদ্ধে সোনাইমিুড়ি থানায় চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধে তিনটি মামলা রয়েছে। এছাড়া চাটখিল থানায়ও কয়েকটি মামলা রয়েছে।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের ধারনা, এলাকায় চুরির সাথে জড়িত ছিলো শাহাদাত। রাতে কোথাও চুরি করতে গিয়ে গণ পিটুনির শিকার হয়। তবে, এলাকাবাসী শাহাদাতের চুরির কারনে অতিষ্ট ছিলো। শাহাদাতের মৃতদেহ থানা থেকে তার পরিবারের কেহ নিতে রাজি হয়নি। পরে, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চোকিদার মৃহদেহ থানা থেকে এনে এলাকাবাসী মিলে দাফন-কাফন করে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, একটি কুচক্রি মহল শাহাদাতের মৃতদেহ নিয়ে কিছু লোককে ফাঁসিয়ে সালিশ বা দেন-দরবার করে ফায়দা হাসিল করতে চাইছে। এবং নানাভাবে হয়রানী করছে। তাদের দাবী পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করে দেখবে, এটা পরিকল্পিত হত্যা নাকি রাতের অন্ধকারে চুরি করতে গিয়ে গণ পিটুনির শিকার হয়ে মৃত্যুবরন। তবে, কোন নিরপরাধ সাধারন এলাকাবাসীকে হয়রানী না করার অনুরোধ এলাকাবাসীর।
সোনাইমুড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো জিয়াউল হক জিয়া জানান, নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। শাহাদাতের মৃত্যু রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
You cannot copy content of this page