সৌদি আরবের পর এবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের ইঙ্গিত দিলেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আব্দুল্লাহিয়ান। তিনি বলেছেন, খুব শিগগির যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্দিবিনিময় হতে পারে। এ জন্য প্রাথমিক একটি চুক্তিও হয়ে গেছে। তবে এক মার্কিন কর্মকর্তা তেহরানের এই দাবি মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
আলজাজিরা জানিয়েছে, রোববার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হোসেন আমির আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, আমরা গত কয়েক দিনে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছি। আমি মনে করি, আমেরিকার পক্ষে সব কিছু ঠিক থাকলে আমরা স্বল্পসময়ের মধ্যে বন্দিবিনিময় প্রত্যক্ষ করব।ইরানের শীর্ষ কূটনীতিক আরও বলেন, গত বছরের মার্চে পরোক্ষ আলোচনার সময় ইরান ও আমেরিকান পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বর্তমানে ওই চুক্তি বাস্তবায়নের ভিত্তি তৈরি হয়েছে। আমাদের দিক থেকে সব কিছু ঠিক আছে। যুক্তরাষ্ট্র তার নিজস্ব চূড়ান্ত প্রযুক্তিগত সমন্বয়ে নিযুক্ত রয়েছে।তবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এক মুখপাত্র। তিনি বলেন, ইরানের হাতে বন্দি মার্কিন নাগরিকদের মুক্তির জন্য কোনো চুক্তিতে পৌঁছেনি ওয়াশিংটন।এর আগে গত শুক্রবার চীনের মধ্যস্থতায় দেশটির রাজধানী বেইজিংয়ে এক চুক্তিতে স্বাক্ষর করে ইরান ও সৌদি আরব। ফলে দেশ দুটির মধ্যকার দীর্ঘ সাত বছরের বৈরিতার অবসান ঘটে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অনেক দেশ ওই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে।এর দুদিন পরই এমন দাবি করলেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, দীর্ঘ বৈরিতার মধ্যেই এবার সম্পর্কোন্নয়নের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন ক্ষমতা নেওয়ার পরই এমন উদ্যোগের কথা শোনা যাচ্ছিল, কিন্তু বিগত তিন বছরে চেষ্টা হলেও চূড়ান্ত কোনো ফল দেখতে পায়নি বিশ্ব।
You cannot copy content of this page