পথ বন্ধ করে দেয়াল নির্মানের অভিযোগ উঠেছে জেসমিন নামের এক নারীর বিরুদ্ধে। জেসমিন নামের এই নারী দেয়াল নির্মান করায় মই বেয়ে প্রায় বারো পরিবার ও এলাকার জনসাধারণের যাতায়াত করতে হচ্ছে কবরস্থানের কবরের উপর দিয়ে।
অবরুদ্ধ পরিবারগুলো বাড়ির উচু দেয়ালে মই রেখে কবরস্থানের উপর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে তাদের। এঘটনায় বাড্ডা কবরস্থান সংলগ্ন বারোটি পরিবারের ও এলাকার জনসাধারণের দূর্ভোগ চরমে।
সূত্রে জানাযায়, বাড্ডা কবরস্থান সংলগ্ন জেসমিনের বাড়ির পাশাপাশি বাড়ি সাইফুল ইসলামের প্রতিবেশির বাড়ি। সাইফুল ইসলাম বাড্ডার স্থানীয় ভাবে বসবাস করে আসছেন। তার পিতা মৃত আহাম্মেদ বেপারী সেকান্দার বাগ জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা। জেসমিন নামের পাশের বাড়ির মালিক জমি ক্রয় করেন।
সরকারের নকশায় ম্যাপে রাস্তা উল্লেখ থাকলেও কয়েক বছর ধরে সেই রাস্তা নিয়ে চার এলাকাবাসীর সঙ্গে চলছে জেসমিনের বিরোধ। জেসমিনের দাবী রাস্তার জমিটি তার। যাদের কাছ থেকে জমি কিনেছে তাদের কাছ থেকে অন্য প্রতিবেশি রাস্তার জমি নিবেন। তার কাছ থেকে এক ইঞ্চিও রাস্তার জন্য জমি দেয়া হবেনা।
প্রতিবেশি সাইফুল ইসলাম বলেন, একটি রাস্তা দিয়ে শত শত এলাকাবাসী ও বারোটি পরিবার প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে যাতায়াত করি। আর এ রাস্তা দিয়েই বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ নিয়েছি। এ রাস্তা দিয়েই বাড়ি নির্মানের সামগ্রী নিয়ে বাড়ি করেছি।
হঠাৎ জেসমিন এসে তার জমি দাবি করে রাস্তায় দেয়াল নির্মান করে রাস্তাটি অবরুদ্ধ করে রাখে। কাউকে যেতে দেয়না। কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে মিথ্যা মামলা দেয়ার হুমকি প্রদান করে। দেয়াল করে অবরুদ্ধ করার কারণে জনসাধারণের বাজারে যেতে হয়। এভাবে কয়দিন দূর্ভোগ পোহাবো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় সুধীজন বলেন, জেসমিন দলবল নিয়ে দেয়াল নির্মান করেছে, প্রতিবাদ করতে গেলে কিছু ঘুষখোর আর প্রশাসনের অসাধু ব্যক্তিরা তাকে সহযোগিতা করে তাই আমরা মামলা হামলার ভয়ে মুখ খুলার সাহস পাচ্ছিনা। এখন বাধ্য হয়ে ১০ ফুট দেয়ালের দুই পাশে মই রেখে তার উপড় দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। শিশুরাও এতো উচু মই বেয়ে স্কুলে আসা যাওয়া করে। জেসমিনের টাকা খেয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও বিচার শালিশ তার পক্ষে।
তিনি আরো বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর দেশের বাইরে থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি তবে বাড্ডা থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার আশ্বাস দিলেও তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হানিফ মিমাংসার জন্য ডিসি, ওসি ও তার খরচ বাবদ ৮০ লাখ টাকার প্রস্তাব দেন ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলামের নিকট।
উল্লেখ্যিত ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘন ও তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হানিফের ৮০ লাখ টাকা ঘুষ চাওয়ার বিষয়টি প্রমাণ সহ লিখিতভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মানবাধিকার কমিশন, পুলিশের সিকিউরিটি সেল, ডিসি ডিএমপি সদরদপ্তর ও গুলশান বিভাগের ডিসি বরাবর আবেদন অব্যাহত রয়েছে। প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ন্যায় বিচার প্রত্যাশি।