• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩৬ অপরাহ্ন

চোরাই চক্রের ৬ সদস্য গ্রেফতার ১১ টি মিশুক অটোরিক্সা উদ্ধার করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : শুক্রবার, ৪ নভেম্বর, ২০২২

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ-
দীর্ঘদিন ধরে একটি সংঘবদ্ধ চক্র কেরাণীগঞ্জ ও ঢাকার আশেপাশের এলাকা থেকে ছিনতাইকৃত ও চোরাই মিশুক অটোরিক্সা ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিলো। এই চক্রের কারণে বিভিন্ন সময় অটোরিক্সা ছিনতাইকারী গ্রেফতার হলেও ছিনতাইকৃত অটোরিক্সা উদ্ধার করা সম্ভব হতো না। কেননা এই চক্রের সাথে বিভিন্ন অটোরিক্সা ছিনতাইকারীদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ থাকায় ছিনতাইকৃত অটোরিক্সা/ মিশুক অটো কয়েকটি হাত বদল হয়ে যেতো। উল্লেখিত কারণে সংঘবদ্ধ এই চোরাই মিশুক অটোরিক্সা ক্রয়- বিক্রয় চক্রকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে শাহাবুদ্দিন কবীর, বিপিএম- সেবা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, কেরাণীগঞ্জ সার্কেল গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় কেরাণীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, রুহিতপুরে চোরাই ব্যাটারী চালিত মিশুক ক্রয়- বিক্রয় করার জন্য কতিপয় ব্যক্তি চোরাই মিশুক সহ অবস্থান করিতেছে। উক্ত সংবাদের প্রেক্ষিতে মামুন অর- রশিদ, পিপিএম, অফিসার ইনচার্জ, কেরাণীগঞ্জ মডেল থানা এর তত্ত¡াবধানে পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মুন্সী আশিকুর রহমান এর নেতৃত্বে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার এস,আই অলক সহ একটি আভিযানিক দল রুহিতপুরে অভিযান পরিচালনা করে। ১। বাচ্চু (৫৫), ২।মোঃ নজরুল ইসলাম (২৫), ৩। মোঃ ফারুক হাসান (৩০) দের একটি চোরাই মিশুক সহ গ্রেফতার করে। ধৃত আসামী বাচ্চু জানায় তাহারা একটি সংঘবদ্ধ চোরাই মিশুক ও অটোরিক্সিা বেচা- কেনা চক্রের সক্রিয় সদস্য। তাহারা ঢাকা জেলা সহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা হইতে চুরি যাওয়া মিশুক ও অটোরিক্সিা ক্রয় করিয়া অন্যের কাছে বিক্রয় করিয়া থাকে। তাহারা কেরাণীগঞ্জ মডেল থানাধীন খোলামোড়া মডেল লেন জনৈক মোশারফ হোসেন এর বাড়ীতে ভাড়া নেওয়া রিক্সা গ্যারেজে আরো ০৪ (চার) টি চোরাই মিশুক বিক্রয়ের জন্য রাখিয়াছে। এছাড়াও তাহাদের চক্রের সদস্য পিয়ার আলীর গ্যারেজে ০২ (দুই) টি, মোঃ আরিফুল ও রিপন শেখ, জামাল শেখ এর কাছে ০১ (এক) টি, দ্বীন ইসলামের কাছে ০৩ (তিন) টি ব্যাটারী চালিত চোরাই মিশুক বিক্রয়ের জন্য রাখা আছে। পরবর্তী তে বাচ্চুর দেওয়া তথ্য মতে কেরাণীগঞ্জের রুহিতপুর, খোলামোড়া, লাখিরচর ও ব্রাহ্মনকিত্তা এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে। ৪।মোঃ আরিফুল হোসেন (৩০), ৫। রিপন শেখ, জামাল শেখ (৪০), ৬। দ্বীন ইসলাম (৪২) দের গ্রেফতারপূর্বক তাদের হেফাজত হইতে আরো ১০ টি চোরাই মিশুক অটো উদ্ধার করা হয়। ধৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামীরা একটি সংঘবদ্ধ আন্তঃ জেলা চোরাই মিশুক ও অটোরিক্সা কেনা- বেচা চক্রের সক্রিয় সদস্য। তাহারা অসহায় খেটে খাওয়া মানুষের শেষ সম্বল অটো ও মিশুক বিভিন্ন এলাকার ছিনতাইকারী/ চোরদের মাধ্যমে ছিনতাই/ চুরি করাইয়া অটো ও মিশুকের রং, আকার আকৃতি পরিবর্তন করিয়া অন্যের কাছে বিক্রয় করে। তাহাদের দেওয়া তথ্য মতে আরো জানা যায় একই ভাবে আরো ২/৩ টি চক্র চোরাই মিশুক ও অটেরিক্সা কেনা- বেচার সাথে সক্রিয় আছে। ধৃত ও পলাতক আসামীদের নিকট হইতে উদ্ধার সর্বমোট ১১ (এগার) টি ব্যাটারী চালিত মিশুক, যার সর্বমোট মূল্য অনুমান ৬,৬০,০০০/- (ছয় লক্ষ ষাট হাজার) টাকা। এব্যপারে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের নামের তালিকা :- ১। বাচ্চু (৫৫), পিতাঃ মৃত নজর উদ্দিন, মাতা- মোসাঃ সাজেলা, সাং- বল্লবপুর, থানাঃ নাগেশ্বরী, জেলাঃ কুড়িগ্রাম, বর্তমান- খোলামোড়া মডেল লেন জনৈক মোশারফ হোসেন এর বাড়ীর রিক্সা গ্যারেজ, ভাসমান, থানাঃ কেরাণীগঞ্জ মডেল, জেলাঃ ঢাকা, ২।মোঃ নজরুল ইসলাম (২৫), পিতাঃ আজিজুল হক, মাতাঃ জাহানারা বেগম, সাং- পশ্চিম মুগারচর, বড়বাড়ী, থানাঃ কেরাণীগঞ্জ মডেল, জেলাঃ ঢাকা, ৩। ফারুক হাসান (৩০), পিতাঃ মোঃ বশির উদ্দিন, মাতাঃ ফরিদা বেগম, সাং- পশ্চিম মুগারচর, মুন্সিবাড়ী, থানাঃ কেরাণীগঞ্জ মডেল, জেলাঃ ঢাকা, ৪। আরিফুল (৩০), পিতাঃ আজিমুদ্দিন, মাতাঃ হাসিনা বেগম, সাং- চর বড়লই লম্বা গ্রামঃ থানাঃ ফুলবাড়ী, জেলাঃ কুড়িগ্রাম, বর্তমানঃ আটিবাজার হল সংলগ্ন গ্যারেজ, ভাসমান, থানাঃ কেরাণীগঞ্জ মডেল, জেলাঃ ঢাকা,৫। রিপন শেখ, জামাল শেখ (৪০), পিতাঃ মৃত সাদু শেখ, মাতাঃ পারভীন বেগম, সাং- শেখবাড়ী, ইউপি- গোপালপুর, থানাঃ গোপালগঞ্জ সদর, জেলাঃ গোপালগঞ্জ, বর্তমান- খাগাইল ঋষিপাড়া হাজী আজাদের বাড়ীর ভাড়াটিয়া, থানাঃ কেরাণীগঞ্জ মডেল, জেলাঃ ঢাকা, ৬। দ্বীন ইসলাম (৪২), পিতাঃ মৃত- জনাব আলী, মাতাঃ ফজিলা খাতুন, সাং- চর রুহিতপুর ৫ নং ওয়ার্ড, থানাঃ কেরাণীগঞ্জ মডেল, জেলাঃ ঢাকা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page