মোঃ হারুন উর রশিদ,নীলফামারী
নীলফামারীর ডোমারে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের এক প্রাক্তন উপ-পরিদর্শকের(এসআই) বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৬ অক্টোবর/২২) বিকেলে ডোমার থানায় মামলাটি করেন ডোমার শহরের চিকনমাটি এলাকার সুমনা আক্তার নামে এক নারী। মামলার প্রেক্ষিতে আজ সন্ধ্যায় আসামী ডোমার থানার প্রাক্তন উপ-পরিদর্শক(এসআই)ও মহাবীর ব্যানার্জীকে আটক করে আদালতে হাজির করে ডোমার থানা পুলিশ। সে দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার কেউটপাড়া এলাকার কালী মোহন ব্যানার্জীর ছেলে। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় এক বছর আগে স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছিলেন(জিডি) ওই নারী। বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব পান সে সময়ে ডোমার থানায় থাকা এসআই মহাবীর। তদন্তের সুবাধে ওই নারীর সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা মহাবীর। এরইমধ্যে গত ছয়মাস আগে ডোমার থানা থেকে এসআই’র বদলী হলেও মোবাইলে যোগাযোগ অব্যাহত ছিলো তাদের। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পূজাঁর ছুটিতে এসে গত ৫অক্টোবর রাতে বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে ওই নারীর সাথে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক করে মহাবীর। বিষয়টি বুঝতে পেরে স্থানীয়রা তাকে আটক করেন। ধর্ষণের শিকার ওই নারী বলেন, এর আগেও গেল ২৮সেপ্টেম্বর রাতে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে। গতকালের ঘটনার পর মিমাংসায় বসা হয়েছিলো কিন্তু মহাবীর বিয়েতে রাজী হয়নি। যার কারণে থানায় মামলা করতে হয়েছে। ডোমার ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম আহমেদ বলেন, পৌরসভার কাউন্সিলরের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমি যাই। এবং তাদের কথাবার্তায় মনে হয়েছে তাদের মধ্যে একটা সম্পর্ক ছিলো। গতকাল রাতে পুলিশ কর্মকর্তাকে ওই নারীর নিকটাত্মীয়রা আটক করেন। কোন অভিভাবক না আসায় তাদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। এ বিষয়ে ডোমার থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মাহমুদ উন নবী বলেন, মামলার প্রেক্ষিতে আসামী মহাবীরকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আদালতে হাজির করা হয়। মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মোমিনুল ইসলাম মোমিন বলেন, আদালতে হাজির করা হলে বিজ্ঞ আদালত তাকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন। পরে তাকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করে কোর্ট পুলিশ। প্রসঙ্গত, ছয়মাস আগে নীলফামারীর ডোমার থানা থেকে নারায়নগঞ্জ জেলা র্যাবে বদলী হন মহাবীর ব্যানার্জী।