রাজশাহীর পুঠিয়া কাঁচাবাজারে গত ১ নভেম্বর থেকে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হলেও বাজারে তার কোন প্রভাব পড়েনি। এক মাস আগেই সরকার এই ঘোষণা দিয়েছিল। নিষিদ্ধ ঘোষণার পরও উপজেলার কাঁচাবাজারগুলোয় চলছে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার।উপজেলার বাজার, বানেশ্বর, ঝলমলিয়া ও মোল্লা পাড়া হাট সহ উপজেলার বিভিন্ন ছোট – বড় বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। সবজি দোকান, ফল দোকান ,কসমেটিক দোকান,ঔষধের ফার্মেসি , কীটনাশক দোকান এ ছাড়াও মুদিখানা দোকানে ও প্রকাশ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে নিষিদ্ধ পলিথিন ।
সাধারণ ক্রেতারা জানান, পলিথিন পরিবেশের জন্য খুবই বিপর্যয় ডেকে আনছে এটা সত্যি। কিন্তু পলিথিনের বিকল্প হিসেবে বাজারে পর্যাপ্ত কিছু না থাকার কারণ সাধারণত এই সমস্যা থেকে কোন প্রকার প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।
পলিথিনের বিকল্প হিসেবে অন্য কোন টিসু ব্যাগগুলো বাজারে আসবে ঠিক তখন এমনিতেই পলিথিন বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলে আমরা মনে করি।
নিষিদ্ধ পলিথিন এর বিষয়ে একাধিক দোকানি জানান, সরকার এক মাস আগে বাজারে নিষিদ্ধ করলেও বাজারে এই নির্দেশনা তেমন কোন প্রভাব পড়েছে বলে মনে হয় না। দুঃখ জনক ব্যাপার হলো সত্য যে আগের থেকে অনেক দাম বৃদ্ধি পেয়েছে পলিথিনের। তবে আমরাও চাই পলিথিন এর ব্যবহার বন্ধ করা হোক। আর এর বিকল্প হিসেবে পচনশীল দ্রব্যের তৈরি ব্যাগ বাজারে আসুক।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন পলিথিন বিক্রেতা বলেন, পলিথিন নিষিদ্ধের খবর আসার পরে থেকেই বাজারে একটু সংকর দেখা দিয়েছে কিন্তু দাম একটু বেশি দিলে পাওয়া যায় সবখানেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ,কে,এম নূর হোসেন নির্ঝর বলেন, নিষিদ্ধ পলিথিনের বিষয়ে বাজার মনিটরিং চলমান রয়েছে। এছাড়াও যেহেতু বাজারে পলিথিনের বিকল্প হিসেবে যে পণ্যটি ব্যবহার করা হবে তা এখনো বাজারে ব্যাপক আকারে প্রভাব ফেলতে পারেনি সেজন্য সকল ছোট বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের আপাতত কঠোরভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না।