ঝালকাঠির দুই বিচারক হত্যার ১৯তম বার্ষিকী আজ। জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) জঙ্গিদের আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর ঝালকাঠির দুই বিচারক নিহত হন।
এদিকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় পালিত হয়েছে বিচারক হত্যা দিবস। এ উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারকরা। সকাল ৯টায় আদালত চত্বর থেকে একটি শোকযাত্রা বের হয়ে শহর ঘুরে নিহত বিচারকদের স্মৃতিস্তম্ভে গিয়ে শেষ হয়। নিহতদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পার্ঘ তুলে দেন জেলা ও দায়রা জজ রহিবুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ ইমরান ও জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন। পরে আদালতের শহীদ সোহেল-জগন্নাথ মিলনায়তনে স্মরণসভা, দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের জেলা জজ এমএ হামিদ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আমিনুল ইসলাম,চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পারভেজ শাহরিয়ারসহ আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর এই দিনে সকাল ৯ টার দিকে কোয়াটার থেকে আদালতে যাওয়ার পথে তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসে এই নৃশংস বোমা হামলা চালানো হয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান বিচারক সিনিয়র সহকারী জজ শহীদ সোহেল আহম্মেদ এবং বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃতু হয় বিচারক সিনিয়র সহকারী জজ জগন্নাথ পাঁড়ের। এ সময় তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি বিধ্বস্ত হয়।
আহত অবস্থায় ধরা পড়ে হামলাকারী জেএমবি সুইসাইড স্কোয়ার্ডের সদস্য ইফতেখার হাসান আল মামুন। এরপর জেএমবির শীর্ষ নেতারা আটক হয়। ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রেজা তারিক আহমেদ ২০০৬ সালের ২৯ মে সাতজনকে ফাঁসির আদেশ দেন। উচ্চ আদালতে সে রায় বহালের পর দেশের বিভিন্ন জেলখানায় ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ ৬ শীর্ষ জঙ্গির মৃত্যুন্ড কার্যকর করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়খ আব্দুর রহমান ও বাংলাভাইসহ ৭ জঙ্গির ফাঁসি কার্যকর করা হয়।