বিশেষ প্রতিনিধি : মুজাহিদ খাঁন কাওছার
সাভার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের হলমার্ক এলাকায় বিএসটিআইয়ের অনুমোদন বিহীন ফরচুন ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ নামক একটি প্রতিষ্ঠান ভেজাল শিশু খাদ্য তৈরীর কারখানায় অভিযান চালিয়েছে, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের নন্দ খালী এলাকায় অবস্থিত হলমার্ক গ্রুপের ভিতরে অবস্থিত ফরচুন ফুড এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ কারখানা টিতে এ অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের অফিস প্রধান, সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল।
এসময় কারখানা টিতে ঘুরে বিভিন্ন ধরনের ভেজাল শিশু খাদ্য তৈরী ও প্যাকেট জাত করতে দেখা গেছে। আইস, ললি, সহ ১০ পদের শিশু খাদ্য তৈরী করা হলেও কোনটির অনুমোদন দেখাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। কারখানা স্থাপন এবং খাদ্য উৎপাদনের জন্য বিএসটিআই য়ের অনুমোদন, পরিবেশের ছাড়পত্র ও ফায়ার লাইসেন্স সহ কোনো কিছুই দেখাতে পারেনি কারখানা কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্যের গায়ে বিভিন্ন ঠিকানা দেয়া হলেও মূলত কারখানাটি বর্তমানে যেখানে অবস্থিত রয়েছে সেখানকার কোনো ঠিকানা ব্যবহার করা হয়নি।
এ সকল অসংগতি থাকার অপরাধে কারখানা কতৃপক্ষকে দুই লাখ টাকা জরিমানা এবং কারখানাটি অনিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
ভোক্তা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে দেখা যায়, ফরচুন ফুড এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ প্রতিষ্ঠানটি লাইসেন্সবিহীন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ১০ ধরনের পণ্য উৎপাদন ও বিপণন করে আসছিলো। পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে, ম্যাংগো ড্রিংকস, লিচি ড্রিংক, অরেঞ্জ ড্রিংকস। ভায়োলেট কালার ফুড, গ্রিন ফুড কালার, লেমন ইয়েলো ফুড , ইত্যাদি উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ ও বাজারজাত করে আসছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, অনুমোদন বিহীন কারখানাটিতে কোনো ক্যামিস্ট পাওয়া যায়নি। এছাড়াও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ১০ ধরণের শিশু খাদ্যে তৈরী এবং বিএসটিআইয়ের মনোগ্রাম ব্যবহার করলেও এসব বিষয়ে তাদের কোন অনুমোদন নেই। এখানে উৎপাদিত পণ্যের মোড়কে পৃথক পৃথক ঠিকানা ব্যবহার করে প্রতারনার মাধ্যমে সাভারের কারখানাতেই তৈরী করা হচ্ছে এসব ভেজাল শিশু খাদ্য। এসব অপরাধের বিষয়ে কোনো সদুত্তোর না দিতে পারায় এবং অপরাধ স্বীকার করায় কারখানা কর্তৃপক্ষকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে পাশা পাশি কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।