• শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৫০ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
তথ্য সংগ্রহকালে সাংবাদিককে হুমকি ॥ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রাজউক কর্মকর্তার সিন্ডিকেট দুদকের জালে প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান এইচবিএম ইকবাল প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে গেছেন শেখ হাসিনা: ড. ইউনূস ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে গুইমারা বাজারে সরকারি ড্রেন দখল করে প্লট নির্মান, নিরব প্রশাসন দাম কমালো জ্বালানি তেলের কোম্পানীগঞ্জে বন্যার পানির তীব্র চাপে ভেঙে গেলো মুছাপুর স্লুইসগেট মোংলায় মন্দির পাহারা ও সর্বসাধারণের নিরাপত্তায় কোস্ট গার্ড তাড়াশে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন রামগড়ে ইউ.পি সদস্যের উপর সন্ত্রাসী হামলা, বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন চৌদ্দগ্রামে অবৈধ অস্ত্র সহ যুবক আটক!

বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু মেরিন স্কলারশিপ চালু করতে চায়: প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অরগানাইজেশনের (আইএমও) মাধ্যমে ছোট দ্বীপ ও আফ্রিকান স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) জন্য বঙ্গবন্ধুর নামে সামুদ্রিক খাতে বৃত্তি চালু করতে চায়।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আইএমও’র মহাসচিব আর্সেনিও অ্যান্তোনিও ডমিনগুয়েজ তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি বলেন, ‘আমরা আইএমওর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর নামে ১০টি ক্যাডেট প্রশিক্ষণ বৃত্তি চালু করতে চাই।

সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

তিনি বলেন, আইএমও মহাসচিব প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছেন। বৃত্তিপ্রাপ্তদের বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

আইএমও মহাসচিব নারী মেরিনার বাড়ানোর জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার প্রথম নারী মেরিনারদের নিয়োগ দিয়েছে এবং তাদের নাবিক হতে অনুপ্রাণিত করেছে।

তিনি এক মাসের মধ্যে ছিনতাইকৃত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ক্রুদের মুক্ত করতে প্রচেষ্টা চালানোর জন্য আইএমওর প্রশংসা করেন।

শেখ হাসিনা সামুদ্রিক পথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইএমওকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের অর্থনীতির জন্য সমুদ্রপথ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরের পার্শ্ববর্তী দেশগুলো একসঙ্গে সমুদ্র পথের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, সমুদ্রপথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অন্যান্য জায়গায় একই ধরনের উদ্যোগ নিন।

সাক্ষাতে জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যাগুলোর পাশাপাশি জাহাজ নির্মাণ এবং এর রিসাইক্লিং শিল্প নিয়ে বিশেষভাবে আলোচনা করা হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার জাহাজ নির্মাণ এবং এর রিসাইক্লিং শিল্পে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়িয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা জাহাজ নির্মাণ এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য শিল্পে নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করেছি এবং এটি উল্লেখযোগ্য।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাত জাহাজ নির্মাণে নিয়োজিত থাকায় বাংলাদেশ ইউরোপের দেশগুলোতে জাহাজ রপ্তানি করছে।

আইএমও মহাসচিব বলেন, সবাইকে হংকং কনভেনশনে নির্ধারিত মানদণ্ড অনুসরণ করতে হবে।

বাংলাদেশ গত জুনে হংকং কনভেনশনে সই করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কনভেনশনে নির্ধারিত মানদণ্ড অনুসরণ করতে হবে, অন্যথায় ইউরোপ কোনো দেশের কাছে তাদের পুরনো জাহাজ বিক্রি করবে না।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হংকং কনভেনশন অনুসরণ করে পরিবেশ রক্ষার জন্য জাহাজ নির্মাণ এবং পুনর্ব্যবহারে তার প্রচেষ্টা বাড়ানোর জন্য আইএমওর কাছে সহায়তা আহ্বান জানান।

জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বাংলাদেশকে বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও খরার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় রিমালের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দীর্ঘস্থায়ী ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের কারণে বাংলাদেশের সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করার চেষ্টা করছে।

প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট-লার্জ এম. জিয়াউদ্দিন এবং মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ