গোপালগঞ্জে জেলা পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল এ্যান্ড কলেজ। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে বিদ্যাপীঠটি শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি পেয়েছে। এ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ৩ বার জেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হওয়ার গৌরব অর্জণ করল । এছাড়া টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পর্যায়ে বিদ্যাপীঠটি ৮ বার শ্রেষ্ঠত্ব দেখিয়েছে।
বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষক আকরামুজ্জান স্কুল পর্যায়ে জেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্বাচিত হয়েছে। শিক্ষা বিস্তারে কৃতিত্বপূর্ণ আবদানের জন্য জেলা পর্যায়ে ৩ বার ও উপজেলা পর্যায়ে ৮ বার তার ঝুলিতে মিলেছে এ স্বীকৃতি। টুঙ্গিপাড়া উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ সংলগ্ন এলাকায় বিদ্যালয়টির অবস্থান। ১৯৯৬ সালে শিক্ষানুরাগী ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের প্রবীণ সদস্য শেখ কবির হোসেন এলাকার শিক্ষা বিস্তারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন ।এখানে শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে। রয়েছে কম্পিউটার ল্যাব, বিজ্ঞানাগার, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমসহ অধুনিক সব সুবিধা এছাড়া নিয়মিত বিতর্ক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। তাই সূচনালগ্ন থেকেই প্রতিষ্ঠানটি এলাকার শিক্ষা প্রসারে দ্যূতি ছড়িয়ে আসছে।এখান থেকে প্রতিবছরই রেকর্ড সংখ্যক শিক্ষার্থী পাস করছে । এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফলে ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি জেলার মধ্যে বরাবরই শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে আসছে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, চলতি বছরের শিক্ষা সপ্তাহে খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল এ্যান্ড কলেজ জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান ও আকরামুজ্জামান শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠনটির শিক্ষার্থী শ্রেয়া ঘরামী নির্ধারিত বক্তৃতা ও বাংলা রচনা প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জণ করেছে। প্রতিষ্ঠনটি বরাবরই ভালো করে আসছে।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, এ বছরের শিক্ষা সপ্তাহে সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল এ্যান্ড কলেজ উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান ও আকরামুজ্জামান শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন। বিদ্যায়তনটি এছাড়া বাংলা, ইংরেজি রচনা, বিতর্ক,তাৎক্ষণিক অভিনয় প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি, দেশত্ববোধক গান, রবীন্দ্র সংগীত, জারি গান, নির্ধারিত বক্তৃতা, লোক নৃত্য ও উচ্চাঙ্গ নৃত্যে ১ম স্থান অধিকার করেছে। প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষা সপ্তাহে ১৩টি বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জণ করেছে। এটি একক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সর্বোচ্চ।
অভিভাবক শেখ আবুল হোসেন বলেন, এখানে গুনগত ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা গতানুগতিক শিক্ষার পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তির শিক্ষা গ্রহণ করছে। তারা শরীর চর্চা, খেলাধূলা, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে নিয়মিত অংশ নিয়ে থাকে ।দেওয়া হয় নীতি ও নৈতিকতার শিক্ষা। এ কারণে তাদের মানসিক, শারীরিক ও প্রতিভার সৃজনশীল বিকাশ ঘটছে ।
অধ্যক্ষ্য ও প্রধান শিক্ষক আকরামুজ্জামান বলেন, প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা এবং সভাপতি শেখ কবির হোসেন একজন রুচিশীল মানুষ।তার মধ্যে দেশত্ববোধ রয়েছে।দায়িত্বশীলতরা অঙ্গীকার নিয়ে তিনি এ প্রতিষ্ঠানকে তিল তিল করে গড়ে তুলেছেন। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা তার ছায়া তলে নিয়মিত ভা লো করে আসছে। শেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি কাজের স্পৃহাকে আরো বাড়িয়ে দেয়। অনুপ্রাণিত করে।ভবিষ্যতে সাফল্যের এ ধারা আমরা অব্যাহত রাখব।