অভিনেতা অলিউল হক রুমি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ সোমবার ভোরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
দীর্ঘদিন ধরে কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন অলিউল হক রুমি। ভারতের চেন্নাইয়ে চিকিৎসা নিতে যান। সেখানে থেকে দেশে ফিরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন এই অভিনেতা।
বরগুনায় জন্ম রুমির। তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক। মা হামিদা হক। তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন রুমি। তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন।
বরিশালের আঞ্চলিক ভাষাতেই বেশি অভিনয় করে থাকেন রুমি। এ ভাষাতেই দর্শকদের হাসান ও কাঁদান। অলিউল হক রুমি যুক্ত ছিলেন সাংবাদিকতার সঙ্গেও। তিনি দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদনা সহকারী ছিলেন।
১৯৮৮ সালে ‘এখন ক্রীতদাস’ নাটকের মাধ্যমে অভিনয়ে যাত্রা শুরু করেন রুমি। টেলিভিশনের পাশাপাশি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি। ২০০৯ সালে ‘দরিয়া পাড়ের দৌলতী’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বড়পর্দায় অভিষেক হয় তার।
রুমি অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটক হলো-‘ঢাকা টু বরিশাল’, ‘আমেরিকান সাহেব’, ‘জার্নি বাই বাস’, ‘বাকির নাম ফাঁকি’, ‘যমজ সিরিজ’, ‘কমেডি ৪২০’, ‘চৈতা পাগল’, ‘জীবনের অলিগলি’, ‘মেঘে ঢাকা শহর’ ইত্যাদি।
অলিউল হক রুমির মৃত্যুতে আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি জিহাদুর রহমান জিহাদ অসাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন কাদের গভীর শোক জানিয়েছেন।
তারা অলিউল হক রুমির রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।