সয়াবিন তেলের দাম সমন্বয় করা হবে। তবে সয়াবিন তেলের পূর্বের দামে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই। ট্যারিফ কমিশন কাজ করছে। সমন্বয় করে যৌক্তিক দামে মূল্য নির্ধারণ করবে সরকার বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মিট দ্য প্রেসে তিনি এ তথ্য জানান।
আহসানুল ইসলাম বলেন, ইরান ও ইসরায়েল হঠাৎ করে হামলা করেছে। এটা আমাদের জানা ছিল না। মধ্যপ্রাচ্য থেকে জ্বালানি তেলসহ অন্যান্য পণ্য আসে। এখন ইসরায়েল ইরানে পাল্টা হামলা চালাবে কি-না জানি না। তারপর সব বিষয় মাথায় রেখে পণ্যের দাম যেন না বাড়ে, সেজন্য আমরা বিকল্পভাবে পণ্য আনার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, টিসিবির পণ্যকে দোকানের মধ্যে নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া, টিসিবি কার্ড পাওয়া ব্যক্তিদের তালিকা হালনাগাদ করা হবে।
১৮টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যাতে স্থিতিশীল থাকে সেজন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাজ করছে বলে জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, যেকোনো পণ্যের দাম নির্ধারণে সরকার ব্যবসায়ীদের পক্ষে না বরং সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই নির্ধারণ করবে।
আহসানুল ইসলাম বলেন, সরকার দু-এক মাসের মধ্যে টিসিবির দোকানগুলোকে স্থায়ী দোকান করার পরিকল্পনা করছে। এর মধ্যে তালিকাও হালনাগাদ করা হবে।
এর আগে তেলের দাম বাড়াতে সোমবার বাণিজ্য সচিবকে চিঠি দেন মিল মালিকরা। সেখানে বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম প্রস্তাব করা হয়েছে ১৭৩ টাকা, পাঁচ লিটার ৮৪৫ টাকা এবং খোলা এক লিটার পাম তেলের দাম ১৩২ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, চিঠির বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। চিঠিও আমি এখনো পাইনি, যদি পাঠিয়ে থাকেন অফিসে গিয়ে দেখতে হবে।